আমোদ প্রতিনিধি।।
২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২০০৬ সালের ২৮ মে দেশের ২৬ তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধার আওতায় আসতে পারেনি দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যার জর্জরিত রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষকদের দলাদলি, প্রতিহিংসামূলক মনোভাব, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কের অবনতি, ছাত্র রাজনীতির বিরূপ প্রভাব, পদ নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি প্রভৃতি লেগেই আছে এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের চেয়ে রাজনীতিতেই বিশ্ববিদ্যালয়টির ভবিষ্যত দেখেন অধিকাংশ শিক্ষক।
প্রতিষ্ঠার এক বছর পরে মাত্র ৭টি বিভাগে ১৫ শিক্ষক ও ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বর্তমানে এ বিদ্যাপীঠে ৬টি অনুষদের অধীনে ১৯ টি বিভাগে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। নারীদের জন্য একটিসহ মোট আবাসন রয়েছে চারটি। তবে এখনও আবাসন সুবিধার বাইরে রয়েছে প্রায় ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।
আবার ২৫০শ’র অধিক শিক্ষকের বিপরীতে আবাসন সুবিধা পাচ্ছেন ২০ থেকে ২৫ জন। মেঝে প্রতি দুই ফ্ল্যাটের পাঁচ তলাবিশিষ্ট দু’টি ডরমিটরিতে কর্মকর্তাসহ থাকতে পারছেন মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ জন। আরেকটি ডরমিটরির নির্মাণকাজ ২০১৭ সালে শুরু হলেও কচ্ছপ গতিতে চলায় কবে নাগাদ তা শেষ হবে, সে নিশ্চয়তা দিতে পারছে না কেউ।
২০১৮ সালের অক্টোবরে অধিকতর উন্নয়নের জন্য ১ হাজার ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার একটি মেগা প্রকল্পের অনুমোদন পায় কুবি। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হলেও ভূমি অধিগ্রহণেই পেরিয়ে গেছে সাড়ে তিন বছরের বেশি। প্রশাসন চলতি বছরের ১০ এপ্রিল ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করতে পেরেছে মাত্র। ফলে কবে নাগাদ এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, দু’ থেকে তিন বছরের মধ্যেই আমাদের ১ হাজার ৬৫৫ কোটির টাকার প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। তখন অবকাঠামোগত সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এখন শুধু দরকার আমাদের শিক্ষা ও গবেষণায় গুণগত উন্নয়ন। আশা করি আগামী পাঁচবছরের মধ্যেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় তার উৎকর্ষতার প্রমাণ দিতে পারবে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com