প্রতিনিধি ।।
২ নারীকে টেঁটাবিদ্ধের ভিডিও নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওটে বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,এটি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের হীরারকান্দা গ্রামের ঘটনা। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে আপন ভাতিজি হোসনা আক্তার ও নাতনি লিজাকে টেঁটাবিদ্ধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চাচা মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। হোসনা আক্তারের বোন আছমা বেগম বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছেন বলে নিশ্চিত করেন মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুর রহমান।
আহত হোসনা আক্তার মজিবুর রহমানের ভাই লিল মিয়ার মেয়ে, অপরজন হোসনা আক্তারের বোনের মেয়ে আফসানা আক্তার লিজা।
স্থানীয় ও পারিবার সূত্রে জানা যায়, হোসনা আক্তারের বাবা লিল মিয়া গত চার বছর পূর্বে মারা যান। মৃত্যুর পূর্বে লিল মিয়া তার স্ত্রী জামেনা বেগমের নামে বাড়ির জায়গা দলিল করে দেন। লিল মিয়ার মৃত্যুর পর ভাই মুজিব মিয়া বাড়িটি দখল করার জন্য জামেনা বেগমের ওপর নির্যাতন করে আসছেন। মঙ্গলবার জামেনা বেগম নিজের বাড়ির জায়গায় লাকড়ি শুকাতে দেন। এটি তাদের জায়গা নয় বলে দাবি করেন মজিবুর রহমান। এতে জামেনা বেগম প্রতিবাদ করলে মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানরা জামেনা বেগমকে মারধর করতে থাকেন। পার্শ্ববর্তী শ্বশুরবাড়ি থেকে জামেনা বেগমের মেয়ে হোসনা আক্তার ও নাতনি আফসানা আক্তার লিজা তাকে উদ্ধার করতে যান। এক পর্যায়ে মজিবুর রহমান ঘর থেকে মাছ ধরার টেঁটা এনে আফসানা আক্তার লিজাকে আক্রমণ করেন, লিজাকে বাঁচাতে গিয়ে হোসনা আক্তারের হাতে টেঁটাবিদ্ধ হন। টেঁটা হোসনা আক্তারের হাতের একপাশ দিয়ে ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এসময় আফসানা আক্তার লিজার হাতেও টেঁটাবিদ্ধ হয়। এলাকাবাসী হোসনা আক্তার এবং আহত লিজা ও জামেনা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হোসনা আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত আফসানা আক্তার লিজা অভিযোগ করেন, আমার নানার মৃত্যুর পর বাড়িটি দখল করার জন্য এর আগেও মজিবুর রহমান কয়েকবার নানীকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। আমরা মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী ছেলেমেয়েদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com