মহিউদ্দিন মোল্লা।।
৪৪ বছর ধরে বিমান নামেনি কুমিল্লা বিমান বন্দরে। বিমান বন্দরের পরিত্যক্ত রানওয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মাত্র ৩০ কোটি টাকার সংস্কারে বিমান বন্দরটি সচল হতে পারে। বিমান বন্দরটি চালু হলে বিমান বন্দর সংলগ্ন কুমিল্লা ইপিজেডে আরো অনেক বিদেশি বিনোয়াগ আসতো, কর্মসংস্থান হতো বিপুল সংখ্যক মানুষের। কুমিল্লার অর্থনীতিতে যোগ হতো নতুন মাত্রা।
সূত্র জানায়,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নগরীর দক্ষিণ পাশে নেউরা-ঢুলিপাড়ার পাশে প্রতিষ্ঠিত হয় কুমিল্লা বিমান বন্দর। এখানে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত আভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল করেছে। পরে অজ্ঞাত কারণে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিমান বন্দরের সকল যন্ত্রপাতি থাকার পরেও কুমিল্লা বিমান বন্দর থেকে ৪৪ বছর ধরে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ৭৭ একর ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত বিমান বন্দর এখন আন্তর্জাতিক রুটের সিগনালিংয়ের কাজ করে। প্রতিদিনই ৩৫ থেকে ৪০টি বিমান এই সিগন্যাল ব্যবহার করে। বেশি চলাচল করে ভারতে আভ্যন্তরীণ রুটের বিমান। আগরতলা বিমানবন্দরে যাওয়া বিমান এই রুটে চলে। এছাড়া রয়েছে ব্যাংক,সিঙ্গাপুরের বিমান। এ বিমান বন্দর প্রতি মাসে এখন সিগনালিং বাবদ আয় করছে ৩০/৪০লাখ টাকা।
সূত্র আরো জানায়,বিমান বন্দরটি চালু করতে বেশি অর্থের প্রয়োজন নেই। বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে। জমি কেনা বা অধিগ্রহণের ঝামেলা নেই। প্রয়োজন রানওয়ে কার্পেটিং,ফায়ার সার্ভিস ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের জনবল।
কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান বলেন,বিমান বন্দর সংলগ্ন ইপিজেডে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বিমান চলাচল এখন সময়ের দাবি। এছাড়া বাংলাদেশের মধ্যে কুমিল্লার সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রবাসে অবস্থান করছে। তাদের অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলে চাহিদা রয়েছে।
সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন,ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে বিমান বন্দর চালু করা প্রয়োজন। পাশাপাশি কুমিল্লা বিমান বন্দর চালু হলে মুমূর্ষ রোগীরা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে জরুরি সেবা পেতো।
কুমিল্লার ব্যবসায়ী নেতা শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামের মাঝে কুমিল্লা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য উৎকৃষ্ট স্থান। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে কুমিল্লা বিমান বন্দর চালু করা জরুরি।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল বলেন, ঢাকারও আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কুমিল্লা বিমান বন্দর চালু হয়। মাঝে বিমান বন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক পিছিয়ে গেছে কুমিল্লা।
কুমিল্লা ইপিজেডের ব্যবসায়ীদের সূত্র জানায়, বিমান বন্দর চালু হলে কুমিল্লা ইপিজেডে আরো বেশি বিদেশি বিনোয়াগকারী আসতো, কর্মসংস্থান হতো বিপুল সংখ্যক মানুষের। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের যাতায়াতে কুমিল্লা বিমান বন্দর চালু করা জরুরি।
কুমিল্লা বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক আবদুল গণি বলেন,বিমান বন্দরের সকল যন্ত্রপাতি রয়েছে। শুধু প্রয়োজন রানওয়ের সংস্কার। রানওয়ে সংস্কারে সাত/আট কোটি টাকা লাগতে পারে। ৩০/৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমান বন্দর পুনরায় চালু করা যেতে পারে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com