কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল
অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ৫মাস ধরে নেই এক্স-রে ফিল্ম। রয়েছে সিবিসি‘র(কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট) রিজেন্ট(রক্ত পরীক্ষার ওষুধ) সংকট। এতে পড়তে হচ্ছে দালালের খপ্পরে। একবারের পরীক্ষা করতে হচ্ছে দুইবার। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অসচ্ছল রোগীরা। রোগী ও তাদের স্বজনদের দাবি দ্রুত এক্স-রে ফিল্ম ও রিএজেন্ট প্রদানের।
সূত্রমতে,জেলার গুরুত্বপূর্ণ ১০০শয্যার কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল। এটি সদর হাসপাতাল নামে পরিচিত। এখানে গত বছরের জুলাই মাসে নতুন এক্স-রে মেশিন দেয়া হয়। সাথে দেয়া হয় স্যাম্পলের ৭০০ফিল্ম। সেগুলো দিয়ে দেড়মাস চলে। সেখান থেকে আয় হয় এক লক্ষ ১৩হাজার টাকা। এরপর থেকে ফিল্ম নেই। ২০০টাকার এক্স-রে রোগীরা বাইরে দ্বিগুণ দামে করতে হচ্ছে। এদিকে রক্তের সিবিসি পরীক্ষার রিএজেন্ট নেই প্রায় ৬মাস ধরে। সেটিও রোগীরা বাইরে থেকে করতে হচ্ছে।
নগরীর সংরাইশ এলাকার রিকশা চালক মুসা মিয়া। তিনি বলেন,কিছুদিন ধরে জ¦র- শ^াসকষ্ট। কয়েকদিন সদর হাসপাতালে ভর্তি আছি। এখানে এক্স-রে ও রক্তের (সিবিসি) পরীক্ষা হয় না। একলোক নিয়ে গেছে পাশের একটা বেসরকারি হাসপাতালে। পরীক্ষা ঠিকমত না হওয়ায় আবার অন্য হাসপাতালে করতে হয়েছে। অনেক টাকা খরচ হয়েছে।
টেকনোলজিস্ট সামছুল হক বলেন,আমাদের এক্স-রে মেশিন চালু আছে। ফিল্ম না থাকায় রোগীদের সেবা দেয়া যাচ্ছে না। এখন বয়স নির্ধারণের কিছু এক্স-রে বিশেষ ব্যবস্থায় করা হচ্ছে।
একই রকম আক্ষেপ করেন,লাকসামের প্রবাসী আনোয়ার হোসেন ও বুড়িচংয়ের ব্যবসায়ী স্বপন মিয়া। তারা দ্রুত পরীক্ষা গুলো চালুর দাবি জানান।
কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন রেজা মো. সারোয়ার আকবর বলেন,আমরা এক্স-রে ফিল্ম ও রিএজেন্ট দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় করে থাকি। জুলাইতে নতুন মেশিন পেয়েছি। তবে ফিল্ম পাইনি। এখনও ফিল্ম ক্রয়ের টেন্ডার শেষ করতে পারিনি। রেসপন্স না পাওয়ায় তা রি-টেন্ডারে গেছে। এখন আমরা ইভুলেশন, মূল্যায়ন ও টেকনিক্যাল সাব কমিটির কার্যক্রম শেষে অনুমতির জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি। অনুমতি পাওয়া সাপেক্ষে আমাদের চাহিদা পূরণ করতে পারবো। আশা করছি দ্রুত এক্স-রে ও রিএজেন্টের কাজ শুরু করতে পারবো।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com