‘৫০ঊর্ধ্ব নারীরা হাড় ক্ষয় রোগে বেশি আক্রান্ত হন’

 প্রতিনিধি।।
বাংলাদেশে ৫০ঊর্ধ্ব নারীরা অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয়রোগে বেশি আক্রান্ত হন। প্রতি তিনজন নারীর একজন এবং ৬০ঊর্ধ্ব প্রতি পাঁচজন পুরুষের একজন এই রোগে আক্রান্ত হন। কুমিল্লায় আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এই তথ্য জানান। নগরীর একটি রেস্তেরাঁয় এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারের বিষয় ছিল অস্টিওপোরোসিসের পদ্ধতি এবং ব্যবস্থাপনা। অস্টিওপোরোসিস টাস্ক ফোর্স, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি কুমিল্লায় বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
অস্টিওপোরোসিস রোগ নির্ণয়, প্রতিরোধ এবং এ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে প্রতিবছরের ২০ অক্টোবর পালিত হয় বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আর্মি মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা: মোহাম্মদ শাহ আলম এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম. সাইফুদ্দিন। এতে সভা প্রধান ছিলেন বারডেম একাডেমির পরিচালক প্রফেসর ড. ফারুক পাঠান। প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মাহাবুবুল ইসলাম মজুমদার। এই অধিবেশনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ‘র সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম, এভার কেয়ার হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. আহসানুল হক আমিন। বিশেষজ্ঞদের প্যানেলে ছিলেন ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ড. শামীমা আক্তার রেখা, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রিনোলজির বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা:শাহরিয়ার আহমেদ মিলন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক চিন্ময় কুমার সাহা।
বক্তারা আরো বলেন, উচ্চতা কমে গেলে,সামনে ঝুঁকে গেলে ও অল্পতে আঘাতে হাড় ভেঙ্গে গেলে হাড় ক্ষয় রোগে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়। অগ্রিম সর্তকতায় বিএমডি পরীক্ষার মাধ্যমে হাড়ের অবস্থা জানা যায়।
মূলত এ রোগের প্রধান কারণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি’র অভাব। এ রোগ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, সুষম ও আঁশযুক্তযুক্ত খাবার খেতে হবে। নিয়মিত শরীরে রোদ লাগাতে হবে। কায়িক পরিশ্রম ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।