প্রতিনিধি।।
গত ৮ বছরে কুমিল্লায় মোট ৩২৭ জন কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩০২ জন চিকিৎসাসেবা সম্পন্ন করেছে। কুমিল্লায় বর্তমানে ২৭ জন কুষ্ঠ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। চলতি জুলাই মাসে আরও ২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে কুষ্ঠ মুক্ত করতে হলে ব্যাপক গণ সচেতনতা প্রয়োজন। এসব তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলায় লেপ্রসি মিশনের জেলা প্রতিনিধি এ্যান্থনি কুইয়া। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব তথ্য জানান। কুমিল্লা নগরীর মুরাদপুর চৌমুহনী সংলগ্ন সূর্যের হাসি ক্লিনিকে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এ্যান্থনি কুইয়া আরও বলেন, ২০১৭ সালে কুমিল্লায় এ রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৬৪ জন। এর মধ্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে রোগ মুক্ত হয়েছে ২০ জন।বিগত ৮ বছরে এ রোগীর সংখ্যা কখনো বেড়েছে। কখনো কমেছে। দি লেপ্রসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও কুমিল্লায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের যৌথ মাধ্যমে কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে। কুষ্ঠ রোগ সম্পর্কে জনমনে এখনো কিছুটা ভীতি কাজ করে। এর কারণ হচ্ছে এ রোগ সম্পর্কে মানুষের অজ্ঞতা জনসচেতনতার অভাব। অন্যান্য রোগের মতই কুষ্ঠ একটি সাধারণ রোগ, যা জীবনু দ্বারা হয়। হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। কুমিল্লার প্রতিটি উপজেলার সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এ রোগের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন লেপ্রসি মিশনের প্রোগ্রাম অরগানাইজার মো. কামরুজ্জামান ও কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজ।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com