মোবাইল ফোনের আলোয় সেহেরি খাচ্ছে কুবি শিক্ষার্থীরা
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমস্যায় পড়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে পানি সংকট, পড়াশোনায় ব্যাঘাত, ঘুমের সমস্যা ও মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে গেল মাসের মাঝামাঝিতেও বিদ্যুৎ সংকটে পড়েছিলেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় মসজিদ, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া, একাডেমিক ভবন-১ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বর্ধিতাংশে বিদ্যুৎ নেই বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই। এর মাঝে কেন্দ্রীয় মসজিদের এসির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে শুধুমাত্র বাতি ও পাখা চালানোর জন্য সাময়িক সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আবাসিক হলগুলোতে বিদ্যুৎ থাকলেও অপর্যাপ্ত ভোল্টেজের কারণে বৈদ্যুতিক পাখা ও বাতি ঠিকমতো জ্বালাতে পারছেন না তারা। পাশাপাশি পানির মোটর চালাতে না পারায় ভোগান্তি অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
দেলোয়ার হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, রোজার সময়ে বৈদ্যুতিক সমস্যা ভোগান্তির মাত্রা তীব্র করে দিয়েছে। প্রশাসন কী করছে এসব বিষয়ে?
সাইফুল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ভোর রাতে মোবাইলের আলো দিয়ে সেহেরি খেয়েছি। ক্যাফেটেরিয়ায় খেয়ে হলে এসে হাত ধুয়েছি। এ ভোগান্তির দায় কার?
এর আগে গেল মাসের ১৫ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল আবাসিক হলগুলো। সেসময় নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে আন্দোলন করলে তৎক্ষনাৎ সাময়িক সংযোগ দিয়ে আন্দোলন থামায় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, প্রধান ফটকের কাজ করার সময় মাটির নিচের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সাময়িকভাবে সংযোগ দিয়ে স্থায়ী সমাধানের জন্য বরাদ্দ দিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু বরাদ্দ পেতে পেতেই আবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম আবদুল মঈন বলেন, আমি বিষয়টি জানা মাত্রই নতুন বরাদ্দের জন্য অনুমোদন দিয়ে দিতে বলেছি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও বিষয়টি যথাসম্ভব দ্রুত সমাধান করতে বলেছি।