নির্মাণ সামগ্রীতে খেলার অনুপযোগী শতবর্ষী মাঠ
মোহাম্মদ শরীফ ।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সবচেয়ে বড় খেলার মাঠের একটি সুবিল ফুটবল মাঠ। রাস্তা সংস্কারের সামগ্্রীতে মাঠটি খেলার অনুপযোগী হয়ে আছে। ২০২১ সালের প্রথম দিকে শুরু হয় উপজেলার কালিকাপুর-পীরগঞ্জ সড়কের। তারপর থেকেই সুবিল গ্রামের এই খেলার মাঠে রাস্তা সংস্কারের ইটসহ নানান সামগ্রী এনে রাখা হয়। এরপর এই মাঠে আস্ত ইটকে কংক্রিটে রুপান্তরিত করা হয়। এখন থেকে কংক্রিট সরবরাহ করে পুরো রাস্তাটির সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হয়। রাস্তাটির সংস্কার কাজ এখন শেষের দিকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো মাঠটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কংক্রিট। বেশকিছু জায়গায় গর্ত হয়ে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এছাড়া ভেঙে ফেলা হয়েছে মাঠের পশ্চিম পাশের গোলপোস্ট। ছিটিয়ে থাকা কংক্রিটের কারণে মাঠে এখন খালি পায়ে হাটা দায়। স্থানীয়রা বলছেন, নির্মাণ সামগ্রী রাখার সময় পুরো মাঠটিতে একফুট বালু ফেলে সংস্কার করে দেওয়ার কথা বললেও, কথা রাখেননি ইজারাদার। উল্টো ছড়ানো কংক্রিটে মাঠটি এখন খেলার অনুপযোগী।
মো শরীফুল, গোলাম কিবরিয়া, বাচ্চু মিয়া, সুজনসহ ২০জন যুবক জানান, দীর্ঘ একবছর যাবৎ আমরা এই মাঠে খেলা থেকে বঞ্চিত। শুরুতে আমরা মাঠে এসব সামগ্রী রাখতে বাধা দিলেও, স্থানীয় প্রভাবশালীদের কর্তৃতে মাঠে তা রাখা হয়। এখন মাঠটির বেহাল দশা করে ইজারাদার চলে গেছে। মাঠটি সংস্কারের দাবি জানালেও কেউ কোনো কথায় কান দিচ্ছে না।
সুবিল গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আবদুল ক্দ্দুুস বলেন, ছোট বেলা আমরা এই মাঠে খেলেছি। আমরা তখন জাম্বুরা দিয়ে ফুটবল খেলতাম। এই মাঠে আশেপাশের ৫০টিরও বেশি গ্রামের ছেলেরা এসে খেলাধুলা করে। রাস্তা সংস্কারের ইট রাখায় এখন মাঠটিতে পা রাখাই যায় না।
এদিকে দীর্ঘদিন মাঠে কোনো প্রকার খেলার পরিবেশ না থাকায় স্থানীয় তরুণরা মোবাইল ফোনে গেমসে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া কিছু তরুণ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে।
৪নং সুবিল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুকুল ভূঁইয়া জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। ইজারাদারের সাথে কথা বলেছি যেন মাঠটি সংস্কার করে দেয়।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক উন নবী তালুকদার বলেন, এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।