নজরুল এভিনিউতে কার নেতৃত্বে অস্ত্রের মহড়া?
অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম ত্রি বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আকম বাহাউদ্দিন বাহার ও আঞ্জুম সুলতানা সীমার গ্রুপের পাল্টা ধাওয়া,গুলি,অস্ত্রের মহড়া হয়েছে। শনিবার নগরীর কান্দিরপাড় ও নজরুল এভিনিউতে এই ঘটনা ঘটে। এতে নগরবাসী আতংকিত হয়ে পড়ে।
সম্মেলনের বাইরের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪১ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নগরীর নজরুল এভিনিউ। সেখানে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে ওই এলাকায় আতংক নেমে আসে। মানুষ ছুটাছুটি শুরু করে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। হলুদ পাঞ্জাবি পরা ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ প্রতিপক্ষকে তাড়া করতে ইশারা করতে দেখা গেছে। তার সাথের কিছু যুবকের মুখ কাপড়ে বাঁধা হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। সাদা গেঞ্জি ও লাল টুপি পরা এক যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।
সূত্র জানায়,শনিবার কুমিল্লা টাউন হলের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখা শুরু করলে সম্মেলনে স্থলে আসার চেষ্টা করেন আঞ্জুম সুলতানা সীমা এমপি। কিন্তু টাউন হলের গেইট এমপি বাহার সমর্থিত নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় তিনি সম্মেলন স্থলে প্রবেশ করতে পারেননি। তিনি টাউন হলের গেইট থেকে ফিরে যাওয়ার পর পরই নগরীর নজরুল এভিনিউস্থ রোডে শুরু হয় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় হেলমেট পরা কয়েকজন যুবক দৈনিক সমকালের ফটোসাংবাদিক এনকে রিপনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। রাবার বুলেটবিদ্ধ হন প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক এম সাদেক।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, গেইট বন্ধ করে দেওয়ায় ঢুকতে না পেরে চলে আসি। চলে আসার সময় পেছন থেকে আমার নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে ১০ নেতাকর্মীকে আহত করে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, টাউন হল মাঠের বাইরে অন্য সড়কে ঝামেলা হয়েছিল। প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।