প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে

অফিস রিপোর্টার।।

ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস। ডিসেম্বরে খেলা হবে। বিশ্বকাপে সামনে কোয়ার্টার ফাইনাল। সেখানে ব্রাজিল খেলবে, আর্জেন্টিনাও খেলবে। বাংলাদেশেও খেলা হবে। সবাই প্রস্তুত আছেন? রাজনীতির মাঠেও খেলা হবে। খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। কুমিল্লা প্রস্তুত? বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।


কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল- আলম হানিফ। বিশেষ বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নেতারা।

 


প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বিএনপি জঙ্গি, সন্ত্রাসী দল। এদের কাছে গণতন্ত্র, মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না। এরা পাকিস্তানের অ্যাজেন্ট। তারা চায় গণতন্ত্র? কীসের গণতন্ত্র? যখন আমার ভাই, ঘরের শিশু নারী হত্যা করা হয়েছিল, তখন গণতন্ত্র কোথায় ছিল? যখন এদেশে গণহত্যা হয়, তখন তাদের গণতন্ত্র কোথায় ছিল? খালেদা জিয়া আর বিদেশে বসা খুনি বলে, তারা নাকি ১০ তারিখ দেশ দখল করবে। ওরা বলছে, তারেক রহমান দেশে আসবে। ও আসুক না, আমরাও চাই সে আসুক। তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারা দলীয় কার্যালয়ে বোমা রেখেছিল। তারা শেখ হাসিনার সাথে রিহার্সেল করার চেষ্টা করেছিল। ৭১-এ বাংলাদেশের কমান্ডার ছিলেন বঙ্গবন্ধু, আর বর্তমান কমান্ডার শেখ হাসিনা। বিএনপি বলে আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ পালাবার দল না, বঙ্গবন্ধুও পালিয়ে যাননি। শেখ হাসিনাও পালিয়ে যাবেন না।ওরা জোর করে পল্টনে সমাবেশ করবে, রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করবে। গতকালও করতে চেয়েছিল। তারা পুলিশের সাথে সহিংসতা করে সেখান থেকে পালিয়ে গেছে। বেশি বাড়াবাড়ি কইরেন না।
কূটনৈতিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ করবেন না। আপনাদের আমাদের লাগবে না। আপনাদের দেশে কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা কিছু বলি না। আপনারা সিরিয়া আক্রমণ করেছেন, আফগানিস্তানকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছেন। আমরা তো কিছু বলিনি। আপনারা খুনিদের জন্য মানবতা দেখেন, অপরাধীদের মানবতা দেখেন, ভিক্টিমদের মানবতা দেখেন না। আপনারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবেন না। এদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় আওয়ামী লীগ থেকে কেউ ভালো জানবে না।
প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, কালকে যে একটা প্যাদানি দিছে দেখছেন না? মির্জা ফখরুল ভাঙা চেয়ারে বইসা আছেন। তার সাথে একটা কাউয়াও নাই। বেয়াক্কেল আমান উল্লা আমান। কথা একটা বলে ফেলছে। সে নাকি ১০ তারিখ সরকার পতন ঘটাবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল- আলম হানিফ বলেন, বিএনপি জামায়াতের দুঃশাসনে দেশ খাদে পড়ে গিয়েছিল। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আজ বাংলাদেশ কতদূর এগিয়েছে। ৭১ এর রাজাকার বিএনপি-জামায়াত। যাদের জন্ম হয়েছিল ক্যান্টনমেন্টে অবৈধভাবে। শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানি বলেছিল, আমি এ দেশের কিছু মানি না। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো কেন এগুলো বলেছে। সে জানায় তার হুশ ছিলো না। মির্জা ফখরুল সাহেব তার মতো হুশ হারাইয়েন না। আপনার অবস্থাও শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানির মতো হবে। তাদের নেতা তারেক রহমান। যে পালিয়ে রাজনীতি করে। সে নাকি তাদের বীর। আজ এই মঞ্চে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, এটা আওয়ামী লীগ সরকার। বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন আওয়ামী লীগ। তাদের ধাক্কা দিয়ে সহজে ফেলা যাবে না। যদি বিএনপি সহিংসতা করে, তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দমন করবে। প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ মাঠে নামবে। বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কত কঠোর হতে পারে, তা কল্পনাও করা যাবে না।


সভাপতির বক্তব্যে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থমন্ত্রী হিসেবে আমার কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের নাম সারা বিশে^ উজ্জ্বল করে তোলা। আমি কি সেই কাজ করতে পেরেছি? আমি সারা বিশে^ অর্থনীতিতে ভালো করেছি। সারা বিশে^ অর্থমন্ত্রীদের মাঝে আমি সেরা অর্থমন্ত্রী হয়েছি। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন,যার মনে যা আছে আমাদের বা অন্যের বিরদ্ধে। তা আরো একদিন শুনবো। আমরা একসাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করবো। প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১সালের স্বপ্ন যেন পূরণ করতো পারি সেদিকে লক্ষ্য রাখবো।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, নিজের আসন ঠিক রেখে অন্যের আসনের ক্ষতির চেষ্টা করা যাবে না। আমাদের মিলেমিশে থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মাননীয়