কুমিল্লার মানুষের জন্য এক লাখ কম্বল,বিব্রত জনপ্রতিনিধিরা

অফিস রিপোর্টার।।
এবারের শীত মৌসুমে সরকারিভাবে কুমিল্লা জেলার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র এক লাখ ১১ হাজার ৭৭০ পিস কম্বল। জেলার ১৭ উপজেলার প্রায় পৌনে এক কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে দরিদ্র লোকের তুলনায় এ বরাদ্দ খুবই কম বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

inside post

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবারের শীত মৌসুমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডার থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জেলার ১৭ উপজেলার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৭৭০ পিস কম্বল। এতে জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪৯০ পিস করে কম্বল। গত সপ্তাহে এসব কম্বল মাঠ পর্যায়ে বিতরণ করা শেষ হয়েছে। তবে মাঠ পর্যায়ে এসব কম্বল বিতরণ করতে গিয়ে জনপ্রতিনিধিদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান জানান, প্রতিটি গ্রামে যে পরিমাণ দরিদ্র লোক আছে, এর সিকি পরিমাণ কম্বলও এবার আসেনি, তাই এসব বিতরণ করতে গিয়ে লোকজনের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, এ ইউনিয়নে জনসংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার , কম্বল পেয়েছেন মাত্র ৩৭৫পিস। যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি নিজের অর্থে আরও ৩শ’ কম্বল ক্রয় করেছেন।
বরুড়া পৌরসভার মেয়র বখতার হোসেন বলেন, তিনি ৪৬৫টি কম্বল পেয়েছেন। এ গুলি ওয়ার্ড পর্যায়ে বিতরণ করতে গিয়ে বড় সমস্যায় পড়তে হয়েছে। কারণ এ পৌরসভায় জনসংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার। এছাড়াও পৌরসভার সুইপার, মালি, নৈশ প্রহরী, কমিউনিটি পুলিশসহ নিন্ম আয়ের অনেক জনবল রয়েছে যারা একটি কম্বলের প্রত্যাশা করতেই পারেন। তিনি আরও বলেন,এখনো দরিদ্র অনেক লোক প্রতিদিন কম্বলের জন্য পৌর অফিসে এসে ফিরে যাচ্ছে।
কুমিল্লা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী জানান, আমরা প্রথম পর্যায়ে লক্ষাধিক কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি, এগুলির বিতরণ শেষ। মাঠ পর্যায়ে চাহিদা অনেক, আমরা মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করি আরও কিছু কম্বল বরাদ্দ পাবো।

আরো পড়ুন