বিএনপি আমাদের ২১ হাজার কর্মীকে হত্যা করে:প্রধানমন্ত্রী

লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইনের উদ্বোধন
inside post
 প্রতিনিধি।।
লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইন ডুয়েল গেজের উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বেলা ১২টা ১১ মিনিটের সময় গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এই উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি সবুজ পতাকা নাড়ালে একটি স্পেশাল ট্রেন লাকসাম থেকে আখাউড়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রেনে ভ্রমণ আনন্দদায়ক। এতে সময় ও অর্থ খরচ কম হয়। খুব সহজে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ করা যায়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের পরামর্শে রেলপথকে বন্ধ করতে চেয়েছিল। আমি যখন যমুনা সেতুর ওপর রেললাইন নির্মাণ করতে যাই, তখনও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বাধা দেয়। এখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকই আমাদের বিভিন্ন কাজে অর্থায়ন করছে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তো কোনো প্রশ্ন নেই। তারপরও বিএনপি ওই নির্বাচনের পর ব্যাপক জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে। ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা আমাদের ২১ হাজার কর্মীকে হত্যা করে। তারা এই আখাউড়া-লাকসাম রেলপথে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। আমরা রেলওয়েতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছি। আজকে যে ডাবল লাইন উদ্বোধন হচ্ছে, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ২১ দফা দাবিতে সেটি ছিল। আমরা এখন সেগুলো বাস্তবায়ন করছি।
চালকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই রেলপথে ঘণ্টায় ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ১২০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অনেক ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। তাই ট্রেন চালানোর সময় সতর্ক হতে হবে। এলাকা বুঝে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যাতে কোনো প্রকার দুর্ঘটনা না ঘটে।
কুমিল্লার লাকসাম জংশনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এসময় আখাউড়া থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ৭২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই ডাবল লাইন ডুয়েল গেজের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ পুরোপুরি ডাবল লাইনের আওতায় চলে এসেছে। এতে এ পথে যাতায়াতে অন্তত এক ঘণ্টা সময় কমে আসবে।
আরো পড়ুন