বাস ডাকাতির মামলায় চারজনকে ১০বছরের সাজা
প্রতিনিধি।।
যাত্রী বেশে বাসে উঠে ধারালো চাপাতি ও চুরি দ্বারা ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ গুরুতর আঘাত করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও হাতঘড়ি ডাকাতির অপরাধে চারজনের প্রত্যেককে দু’টি ধারায় ১০বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোঃ রফিকুল ইসলাম।
দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার হীরাঝিল গ্রামের মৃত মোঃ আজিজের ছেলে রাতুল ওরফে কাউছার, একই জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারারকান্দি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে জামসেদ মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের দক্ষিণ পৈরতলার আবদুল হাকিমের ছেলে ইলিয়াস প্রকাশ সুমন ও নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন তারাব গ্রামের সরুফ মিয়ার ছেলে মোঃ সফিকুল ইসলাম প্রকাশ রফিক।
মামলার বিবরণে জানা যায়- ২০১০ সালের ২০ জুলাই ঢাকা সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড হতে কর্ডোভা বাস ছেড়ে যায়। ডাকাতদল যাত্রীবেশে বাসে উঠে। মেঘনা ব্রিজ অতিক্রম করার পরপরই চা-পাতি ও ছোরা বের করে বাসটির চালককে গাড়ির স্টিয়ারিং হতে উঠিয়ে ডাকাতদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়। যাত্রীদের উপর হামলা করে টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার লুন্ঠন করে নিয়ে যায়। যাত্রীদের শোর চিৎকার করলে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ বাসটির পিছু ধাওয়া করে। বাসটি দাউদকান্দি আসলে দাউদকান্দি থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ গৌরীপুর বাস স্ট্যান্ডে ব্যারিকেড দিয়ে কয়েকজন ডাকাতকে আটক করে। এ ব্যাপারে ২০১০ সালের ২০ জুলাই চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার চন্দ্রাকান্দি গ্রামের কামাল হোসেন বাদী হয়ে ডাকাত রাতুল ওরফে কাউছার, জামসেদ মোল্লা, মোঃ সফিকুল ইসলাম রফিক ও ইলিয়াস প্রকাশ সুমন এবং পলাতক ডাকাত মোঃ ফারুক (২২) ও সোলায়মানসহ (২৫) অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনকে আসামি করে দাউদকান্দি থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি রাতুল ওরফে কাউছার, জামসেদ মোল্লা, মোঃ সফিকুল ইসলাম রফিক, ইলিয়াস প্রকাশ সুমনের বিরুদ্ধে সাত বৎসরের সশ্রম কারাদ- ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং তিন বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। আসামি সোলাইমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অভিযোগের দায় হতে খালাস প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বাবু।