অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাইকে এবার আদালতের শোকজ

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার লালমাইয়ে দুই সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় এবার অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ারকে শোকজ করেছে আদালত। এই শোকজ করেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি কুমিল্লার চেয়ারম্যান সিনিয়র সহকারী জজ রাজীব কুমার দেব। নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি, কুমিল্লা-১০ এর অস্থায়ী কার্যালয়ের সহকারী জজ আদালতে (বরুড়া), কুমিল্লা শুক্রবার হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হয়ে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
মঙ্গলবার আদালতের দেয়া নোটিশে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা ও রিটার্নিং অফিসার প্রেরিত চিঠি অনুযায়ী আপনি কুমিল্লা-১০ এ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আহম মুস্তফা কামালের নির্বাচনী প্রচারণায় লালমাই উপজেলার হাজতখোলা বাজার এলাকায় ছবি তোলার সময় স্থানীয় সাপ্তাহিক লালমাই বার্তার স্টাফ রিপোর্টার কাজী এয়াকুব আলী নিমেলের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন এবং দৈনিক আমাদের কুমিল্লা পত্রিকার সাংবাদিক লালমাই প্রতিনিধি গাজী মামুনের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আপনি সাংবাদিকের এতো ভিডিও আর ছবি তোলার দরকার নাই। সারাক্ষণ খালি ছবি তোলা আর ভিডিও করা, আর কোনো কাজ নেই? আমরা ছবি তুলতে ঢাকা থেকে লোক এনেছি বলে মন্তব্য করেন। আপনার অনুরূপ কার্যকলাপ নির্বাচনী প্রচারকালে তিক্ত, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ এবং মিডিয়া প্রতিনিধির দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদানের সামিল। যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের পরিপন্থী। এতে আপনি রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশন বরাবরে সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না তৎ মর্মে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল।
উল্লেখ্য- অর্থমন্ত্রীর মেয়ে নাফিসা কামাল সোমবার লালমাই উপজেলার হাজতখোলায় নৌকার প্রচারণায় আসেন। সাংবাদিকরা প্রচারণার ছবি তোলার সময় লালমাই বার্তার স্টাফ রিপোর্টার কাজী নিমেলের ক্যামেরাটি ছিনিয়ে নেন অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার। এছাড়া দৈনিক আমাদের কুমিল্লার লালমাই প্রতিনিধি গাজী মামুনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদেও বিষোদগার করেন।
এ ঘটনায় ৩সদেস্যর তদন্ত কমিটি করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) সালমা ফেরদৌস। সদস্য সচিব সিনিয়র সহকারী সচিব ইমদাদুল হক তালুকদার,সদস্য লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌমিতা দাস। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সালমা ফেরদৌস ঘটনায় সম্পৃক্ত সাংবাদিক ও অভিযুক্ত অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ারের বক্তব্য শোনেন।

inside post
আরো পড়ুন