গোমতীর বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা বন্ধ ঘোষণা এমপি আজাদের

 প্রতিনিধি।
কুমিল্লার দেবিদ্বার অংশে শতাধিক স্থানে গোমতী নদীর বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন কুমিল্লা-৪(দেবিদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুরামপুর গোমতী নদী এলাকায় পরিদর্শনে এসে বালু তোলা ও মাটি কাটা বন্ধের ঘোষণা দেন তিনি। এসময় তিনি ট্রলার যোগে গোমতী নদীর যেসব এলাকায় মাটি লুটপাট করা হয়েছে সেসব স্থান পরিদর্শন করেন।

inside post


এমপি আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, গোমতী নদীর জাফরগঞ্জ অংশে ইউলোপ কেটে নদী সোজা করা হবে, গোমতী নদীর ওপর দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে, নদীর দুই পাড়ের মানুষ ভালো থাকার জন্য অবৈধ বালু উত্তোলন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হলো। আজ থেকে গোমতী নদীর বালু উত্তোলন বন্ধ করা হলো। তারা কোন না কোন ক্ষমতাবান কারো ছত্রছায়ায়ই এ অপকর্মগুলো করছে। আগে কি হয়েছে তা বাদ, সামনে থেকে এমন কাজ আর করতে দেওয়া হবে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গোমতী নদীর দেবিদ্বার অংশে শতাধিক স্থানে একটি প্রভাবশালী চক্র রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন নদীর বালু উত্তোলন ও ট্রাক্টরে করে মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে আসছিল। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করলেও বেপরোয়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি।
পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিগার সুলতানা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নয়ন মিয়া, উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফিজুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কাশেম চেয়ারম্যান, জাফরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদ আলম, ফতেহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ ও সুবিল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মুকুলসহ নেতা কর্মীরা।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে এমপি আবুল কালাম আজাদ ঘোষণা দিয়েছিলেন, নির্বাচনে জয়ী হলে প্রথমে গোমতী নদীর মাটি কাটা বন্ধ করবেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষায় মাটি কাটা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন তিনি।

আরো পড়ুন