গ্রামের উঠানে উঠানে আদা চাষের উৎসব

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
ধামঘর। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রাম। গ্রামের উঠানে উঠানে বস্তায় আদা চাষের উৎসব দেখা গেছে। গ্রামের ৭৮টি পরিবার তাদের উঠানে আদার চাষ করেছেন। এছাড়া উপজেলার আলীরচর,পীরকাশিমপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে ৭হাজারের বেশি বস্তায় আদার চাষ করা হয়েছে। জেলায় ১৭ উপজেলায় ৪০হাজার বস্তায় আদার চাষ হয়েছে। ভালো ফলন দেখে অন্যদেরও আগ্রহ বাড়ছে। কৃষি বিভাগের দাবি, এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রিও করা যাবে। কমবে আদার আমদানি নির্ভরতা।

inside post


সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ধামঘর গ্রামের মুছা মার্কেট এলাকা। বাড়ির উঠানে,ঘরের সিঁড়িতে, ছায়াযুক্ত পরিত্যক্ত জমিতে বস্তার সারি। এতে আদার চাষ হয়েছে। নারীরা গাছ গুলো পরিচর্যা করছেন। কেউ বস্তা গুলো ঠিক করে দিচ্ছেন। কেউ গোড়ায় জন্মানো ঘাস নিড়ানি দিয়ে পরিষ্কার করছেন। বস্তায় আদার সবুজ স্বাস্থ্যবান গাছ দেখে খুশি তারা।
আদা চাষি শাকির আহমেদ,আবদুর রব সরকার ও নুরজাহান বেগম বলেন, আমরা মাটিতে আগে কিছু আদা চাষ করেছিলাম। তেমন ভালো ফলন পাইনি। তাই উৎসাহ কমে যায়। কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহায়তায় এবার বস্তায় আদার চাষ করেছি। ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।
স্থানীয় উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, অনেকের আদা চাষের উঁচু জমি নেই। তাই উঠানে বস্তায় আদা চাষের পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়া বাড়ির পরিত্যক্ত জমিও কাজে লাগছে। ধামঘর ছাড়াও পরমতলা,নহল চৌমুহনী এলাকায়ও আদার চাষ হচ্ছে।
মুরাদনগর উপজেলা কৃষি অফিসার পাভেল খান পাপ্পু বলেন,আদা চাষে খুব বেশি খরচ নেই। একটি বস্তায় ১০ কেজি মাটি, চার কেজি জৈব সার, এক কেজি ভার্মি কম্পোস্ট দিতে হবে। সেখানে আদার বীজ লাগিয়ে দিলে ১০মাসে ভালো ফলন আসে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন,বস্তায় আদা চাষ কুমিল্লায় ভালো সাড়া ফেলেছে। জেলায় ৪০হাজার বস্তায় আদার চাষ হয়েছে। সেখানে ৮০টন আদা উৎপন্ন হবে বলে আশা করছি। এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে চাষিরা বিক্রিও করতে পারবেন। এতে কমবে আদার আমদানি। ভবিষ্যতে আরো চাষ বাড়বে বলে আশা করছি।

আরো পড়ুন