‘খুনি লুটেরা যেন নতুন করে ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি করতে না পারে ’

ইলিয়াছ হোসাইন।।
ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান শীর্ষক কুমিল্লায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দেশের জনগণ সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে। হেফাজতের কর্মসূচিতে বাতি নিভিয়ে রাতের আঁধারে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল। দেশের মেধাবী মানুষদেরকে তারা গুম করে আয়নাঘরে বন্দী রেখেছিল। ট্রাইবুনালের মাধ্যমে জুডিশিয়াল কিলিং করেছে। ছাত্ররা যখন কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে তখন তাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালিয়েছে, মেরে খুন করে পুলিশের গাড়ির উপর থেকে টেনে হিচড়ে ফেলে দিয়েছে। এতে বিবেকবান প্রতিটি মানুষের হৃদয় কেঁপে উঠেছিল। গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করে দেয়া হয়েছে। মানুষের অধিকার হরণ করতে বিগত শেখ হাসিনার সরকার ছিল শ্রেষ্ঠ। তাই ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লব অনিবার্য ছিল।


বক্তারা আরো বলেন, বিপ্লবকে ধরে রাখতে গোটা জাতির মধ্যে ঐক্য স্থাপন করতে হবে। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশের মানুষ যে সকল দাবিতে একটি সফল অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল তার বাস্তবায়ন করতে হবে। খুনি লুটেরা দুর্বৃত্ত নতুন করে যেন ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। জুলাই আন্দোলনের শহীদ এবং আহতদের ইতিহাস সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ রাখতে হবে।


শনিবার কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলার একটি কনফারেন্স হলে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখা। সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক এ এইচ এম তারিকুল ইসলাম লিটনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, বিশিষ্ট ইসলামিক আলোচক নাগাইস দরবার শরীফের পীর মাওলানা মোস্তাক ফয়েজী, কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী, কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. ফজলুল হক লিটন, কুমিল্লা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার সমন্বয়ক আবু রায়হান, ছাত্র প্রতিনিধি ইব্রাহিম খালেদ, বাকশিস কুমিল্লা জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ এমদাদুল হক পলাশ, গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী আসাদুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কুমিল্লার সভাপতি কাজী নজির আহমেদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলজার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আশিক আহমেদ শাহীন, মোহাম্মদ মনির হোসেন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আখতার জামিল, অর্থ সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বিষয়ক সম্পাদক সাইফুদ্দিন প্রমুখ।