আওয়ামী লীগ তাদের লোকদেরও খুন ও নির্যাতন করেছে:ডা.তাহের

আবদুল্লাহ আল মারুফ,সানোয়ার হোসেন।।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ইতিহাস বলে ফ্যাসিজম একবার বিদায় হলে আর ফিরে আসে না। এদেশেও সেটা হবে না। বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারণ নেই।

inside post


শনিবার (২১ ডিসেম্বর) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার এ.জে মডেল হাই স্কুল মাঠে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, শুধু বিএনপি জামায়াত নয় আওয়ামী লীগ তাদের দলের লোকদেরও খুন ও নির্যাতন করেছে। আমার এলাকায় আওয়ামী লীগ নিজেদের ৮জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। তবে আমরা কোন হত্যার রাজনীতি করবো না। চৌদ্দগ্রামকে আমরা শান্তির জনপদে পরিণত করবো। কোন দল দেখা হবে না।


ডা. তাহের বলেন, আমরা বলেছি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। সেটি ২০২৫ সালের ভিতরেই হতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘সম্ভব যদি তারা আংশিক সংস্কার করে। আমরা মনে করি তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করা সম্ভব। এরপর এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচনী অনুষ্ঠান করবেন এটাই জাতির প্রত্যাশা ও জামায়াতে ইসলামীর দাবি। তিনি বলেন, আমাদের বলা হয় নারীর অধিকার থাকবে কিনা। পরিবারের নারীরা চাকরি করতে পারবে কিনা? আমার পরিবারে আমার স্ত্রী একজন প্রফেসর। আমার মেয়ে একজন ডাক্তার, তিনি চাকরি করেন। আমার দ্বিতীয় মেয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, তিনি চাকরি করেন। আমার ছোট মেয়ে আর্কিট্যাক্ট, তিনিও চাকরি করেন। যদি আমরা ক্ষমতায় এলে নারীদের চাকরি করতে না দেই আমার পরিবারেই তো চাকরি থাকছে না। এগুলো জামাত ইসলামীর বিরুদ্ধে একটি অপপ্রচার।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে যুব সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবুল হাসনাত মু. আব্দুল হালিম, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুর রহমান, কুমিল্লা অঞ্চল টিম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমীর অ্যাডভোকেট শাহজাহান, কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমানসহ ছাত্রশিবির, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

 

আরো পড়ুন