যুবদল নেতার লাশ নিয়ে হত্যার বিচার দাবি
ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার
প্রতিনিধি।
কুমিল্লায় যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের লাশ নিয়ে বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে নিহত তৌহিদের এলাকায় বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। তৌহিদ আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক। এদিকে সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তৌহিদের মরদেহ নিয়ে মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর ৩টি গাড়ি ও একটি লাল রঙের গাড়ি এসে তৌহিদুল ইসলামের কাছে অস্ত্র আছে এমন অভিযোগে তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরে স্বজনরা গিয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ খুঁজে পান। এ সময় নিহত তৌহিদের পুরো শরীরে বেদম আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
নিহত তৌহিদের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ জানান, স্থানীয় কয়েকজনের সাথে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দ্বন্দ্ব আছে। তারা সেনাবাহিনীকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এদিকে শনিবার বিকেলে দ্বিতীয় জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তৌহিদের মরদেহ দাফন করা হয়।
অপরদিকে যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যুবরণ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা হতে আটককৃত মো: তৌহিদ (৪০), একই দিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক ঘটনাটি তদন্তে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, উক্ত সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।