গাছের পাতায় মিষ্টি ও পিঠার আয়োজন বাগানিদের


সুমন পাটোয়ারী।।
কুমিল্লায় বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে সমুদ্র জবার পাতায় পিঠা ও মিষ্টি খেলেন ছাদ বাগানিরা। শনিবার বিকেলে কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির উদ্যোগে কুমিল্লা মেমোরিয়াল কিন্ডার গার্টেনে এ উপলক্ষে বিভিন্ন গাছ বিনিময় করেন বাগানিরা।
‘সবুজে থাকুন, সবুজে বাঁচুন’ এ স্লোগানকে ধারণ করে কুমিল্লার বাগানিরা একে অপরকে গাছের চারা বিতরণ করে ঈদ পুনর্মিলনী ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেন।

সেখানে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যেকে ব্যাগে করে বিভিন্ন গাছের চারা নিয়ে বসে আছেন। কিছুক্ষণ পর কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. আবু নাঈম বাগানিদের জন্য মিষ্টি পাঠালেন। সবার হাতে হাতে সমুদ্র জবার পাতায় করে মিষ্টি ও পিঠা দেয়া হল। মিষ্টি ও পিঠা খেয়ে একে অপরে নববর্ষের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। এরপর হাতে কয়েকটি ব্যাগে করে বিভিন্ন গাছের চারা নিয়ে আসলেন ডা. আবু নাঈম। এবার তিনি সবার মাঝে গাছের চারা বিতরণ করতে শুরু করেন।
বাগানি ফারজানা চৌধুরী বলেন, নববর্ষ উপলক্ষে আমরা আজ বাগানিরা একত্রিত হতে পেরেছি এতে আমি অনেক খুশি। সমুদ্র জবার পাতায় করে পিঠা ও মিষ্টি খেয়েছি। এটা আমাদের আনন্দ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তার বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যকে ধারণ করতে মূলত আমরা বাগানিরা একত্রিত হয়ে সমুদ্র জবার পাতায় করে পিঠা ও মিষ্টি খেয়েছি। বিভিন্ন গাছের চারা বিনিময় করেছি।
ড. জেসমিন পারভীন বলেন, সবুজ উপহার দিয়ে সবুজায়ন করছে কুমিল্লার বাগানিরা। আমার এখানে এসে খুবই ভাল লাগছে। আমি বাগানিদের বিরল প্রজাতির কিছু গাছের বীজ ও চারা দিয়েছি। এখানকার বাগানিদের আগ্রহের সাথে বাগানে গাছের পরিচর্চা করে নগরীকে সবুজায়ন করার চেষ্টা করে। এটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে।
কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. আবু নাঈম বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ম্যালামাইন ও ওয়ান টাইম প্লেটে খাবার খেয়ে থাকি। প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুকি। এ জন্য সমুদ্র জবার পাতায় আজকে আমরা পিঠা ও মিষ্টি খেয়েছি। তা আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকর। যেহেতু আমরা সবুজ নিয়ে কাজ করি। আমরা একে অপরের প্রতি গাছের চারা বিতরণ করে দেশকে সবুজায়নের চেষ্টা করছি।
