রক্তক্ষরণে নিস্তেজ হাবিবা,আবার বসতে চান পরীক্ষায়

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লক্ষীপুর। সেই গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সালামের মেয়ে উম্মে হাবিবা। সে কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী। এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার ছিলো তার শেষ দিনের হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে যাবে। বান্ধবীদের সাথে সময় কাটাবে। নানা পরিকল্পনা। কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় এখন তার সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। মঙ্গলবার সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর নিউ হোস্টেলের পাশে অটো রিকশা উল্টে তার ডান পা দুই ভাগ হয়ে যায়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। বাম পায়েও আঘাত পান। তবুও পা কাপড়ে পেঁচিয়ে পরীক্ষা দিতে ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যান। পরীক্ষা হলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর সে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। কলেজের শিক্ষকরা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তার আর পরীক্ষা দেয়া হয়ে উঠে না। তার শিক্ষকদের দাবি বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা গেলে তার জীবনের একটা বছর নষ্ট হবে না।
উম্মে হাবিবা বলেন,আমার পা ভাঙ্গাতে যত কষ্ট পেয়েছি,তার থেকে বেশি কষ্ট পেয়েছি পরীক্ষা দিতে না পারায়। বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষার সুযোগ দেয়ার জন্য মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক বশির আহমেদ বলেন,আমরা চাই মানবিক দৃষ্টিতে বিশেষ বিবেচনায় হাবিবাকে পুনরায় পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হোক। এতে সে একটা বছর নষ্ট থেকে রক্ষা পাবে।
ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন,অটোরিকশা উল্টে উম্মে হাবিববার মতো আমাদের আরেকজন পরীক্ষার্থী রূপসী বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী আকলিমা আক্তার আহত হন। তাদের পরীক্ষা বিকল্পভাবে দেয়ার সুযোগ করে দেই। তার মধ্যে হাবিবা পরীক্ষা দিতে পারেনি। অটো রিকশা দুর্ঘটনায় আমাদের একজন শিক্ষক মেহেরুন্নেছাও কিছুদিন আগে আহত হন। অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনকে কাজ করতে হবে।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর রুনা নাছরীন বলেন,বিশেষ ব্যবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এবিষয়ে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিতে পারে।

inside post
আরো পড়ুন