বিদ্যালয়ের পথে বাজার, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা



সানোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মিয়াবাজারে চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি অস্থায়ী দোকান ও দখলে সংকুচিত। কলেজ রোড নামে পরিচিত রাস্তাটিতে বর্ষায় জমা পানি ও ময়লা মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় চার হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থীদের। দোকান বসিয়ে বন্ধ করা হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখ।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, মিয়াবাজারের পাশ দিয়ে চলাচলের ব্যস্ত রাস্তাটির উত্তর পাশে বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেঁষে বসেছে ফল, শাকসবজি ও অন্যান্য অস্থায়ী দোকান। দক্ষিণ পাশে স্থায়ী দোকানিরা রেখেছেন মালামাল। ক্লাস চলাকালীন মিয়াবাজার লতিফুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয় ও মিয়াবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে বসেছে দোকান। মাঝখানে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা। যান চলাচলের মধ্যে এসব মাড়িয়েই চলাচল করছে শিক্ষার্থীরা। ছুটির পর দেখা যায় লেগে আছে জট। এতে শিক্ষার্থীদের চলাচল হয়ে পড়ে অসম্ভব। তবে দোকান বসিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করেছেন যে দোকানিরা তারা বলছেন আমাদের কাছ থেকে ইজারাদার নিয়মিত ইজারা নেন।
মিয়াবাজার লতিফুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়, মিয়াবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তোষণ রফিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা ও মিয়া বাজার ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক জানান অসহায়ত্বের কথা। দফায় দফায় সরানোর পরেও তারা এখানে দোকান নিয়ে বসে দোকানিরা। সমস্যা সমাধানে কেউ কখনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানান তারা। তবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে সবচাইতে বেশি সমস্যা হয়। বড়দের মতন তারা পথ চলতে পারেনা। উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অটো মিশুক স্ট্যান্ডকে মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে উল্লেখ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ।
মিয়াবাজার লতিফুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জিয়াউল হুদা বলেন,’দোকানিরা এক সপ্তাহের সময় নিয়েছে দোকান সরিয়ে নিতে। আমি চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীদের চলাচলের সড়কটি অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে।’
মিয়াবাজার ইজারাদার নূর আহম্মেদ বলেন, আমরা কাউকে ওই রাস্তায় দোকান বসাতে বলিনি। তবে যারা দোকান বসায় তাদের কাছ থেকে ইজারা নেয়ার কথা জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সরোয়ার লিমা বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে অবগত হয়েছি। সমস্যা নিরসনে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।’