কুমিল্লায় মালচিং সিটে বারোমাসী শসা চাষে খুশি কৃষক

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় বারোমাসী শসা চাষে খুশি কৃষকরা। অসময়ের এই শসার ভালো ফলন হয়েছে। দাম পেয়েছেন ভালোও, তাই তারা বেশ খুশি। বিশেষ করে যারা মালচিং সিট (বিশেষ ধরনের পলিথিন) ব্যবহার করেছেন তারা বেশি ফলন পেয়েছেন। কৃষকদের একজন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বলারামপুর গ্রামের কাজী আনোয়ার হোসেন।
তার জমিতে গিয়ে দেখা যায়,সুতা দিয়ে মাচা তৈরি করা হয়েছে। বোটায় বোটায় ঝুলছে শসা। প্রতিটির ওজন সাতশ‘ থেকে আটশ’ গ্রাম। শেষ বিকালের আলো শসার গায়ে পড়ে সবুজ শসা বর্ণিল হয়ে উঠেছে। পাইকারদের শসা সরবরাহ করতে ক্লান্তিহীন শসা তুলছেন কৃষক আনোয়ার ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরনে লুঙ্গি,খালি গা আনোয়ারের। গায়ে ঘাম চকচক করছে। মুখের ঘাম মুছে আবার তিনি কাজে মনোযোগ দিচ্ছেন। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা নেমে এলে তিনি কাজ বন্ধ করেন। ঝুড়িতে শসা সাজানো শুরু করেন। তার মুখে তৃপ্তির ঝিলিক। তার এ তৃপ্তির ঝিলিক সন্ধ্যার অন্ধকারও চাপা দিয়ে রাখতে পারে না।
কাজী আনোয়ার হোসেন বলেন,তিনি ৩০ শতক জমিতে মেটাল সিড জাতের বারোমাসী শসার চাষ করেছেন। জমিতে মাটির উঁচু বেড করে মালচিং সিট পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন। সিটের ফাঁকে শসার গাছ লাগিয়েছেন। মালচিং সিটের নিচে একবারেই সার দিয়ে দেন। সেখানে আর সার দিতে হয়নি। মাটি ঢাকা থাকায় আগাছার উৎপাত হয়নি। ৩০শতক জমিতে তার ১৬হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি দুই মাসেই ফলন তোলা শুরু করেছেন। এখন প্রতি কেজি শসা পাইকারি বিক্রি করছেন ৯৫টাকা কেজি দরে। ইতোমধ্য ২৫হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। কোনো দুর্যোগ না হলে তিনি দেড় লাখ টাকার শসা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন বলেন,কৃষি বিভাগ থেকে অনেক কৃষককে এই নতুন জাতের শসার বীজ দেয়া হয়েছে। এই শসার চাষ করে কৃষকরা ভালো লাভ পাচ্ছেন। বিশেষ করে যারা মালচিং সিট ব্যবহার করেছেন তারা বেশি ফলন পেয়েছেন। এতে তাদের খরচও কম হয়েছে।

inside post
আরো পড়ুন