এখন কাঁথা শুকানো হয় লাকসাম-নোয়াখালী রেলরুটে !

মহিউদ্দিন মোল্লা।।
ট্রেন কমায় ও স্টেশন বন্ধে মৃতপ্রায় লাকসাম-নোয়াখালী রেলরুট। এতে সেই মৃতপ্রায় রেল লাইনে লাকড়ি ও কাঁথা শুকাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ট্রেন কমায় বেকাদায় পড়েছেন স্থানীয় যাত্রীরা। তাদের বেশি ভাড়ায় সড়কপথে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া স্টেশনসংলগ্ন ব্যবসায়ীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,কুমিল্লার লাকসাম থেকে নোয়াখালী রেল রুটে আগে দুই জোড়া ডেমু কমিউটার,দুই জোড়া লোকাল ট্রেন ও দুইটি আন্ত:নগর ট্রেন চালু ছিলো। এখন শুধু আন্ত:নগর উপকূল এক্সপ্রেস চালু আছে। এছাড়া সপ্তাহে তিনদিন একটি লোকাল ট্রেন চলাচল করতো। ইঞ্জিন স্বল্পতায় তারও মাঝ মাঝে যাত্রা বাতিল হয়। এদিকে বন্ধ হয়ে গেছে এই রেল রুটের দৌলতগঞ্জ, খিলা, বিপুলাসার, বজরা ও মাইজদী রেলস্টেশন।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা রেলস্টেশন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়- স্টেশনটি দেড় দশক ধরে বন্ধ রয়েছে। সেখানে প্ল্যাটফর্মে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মালামাল রেখেছেন। অন্য পাশে জুয়া খেলায় ব্যস্ত লোকজন। কোথাও গরু, ছাগল বাঁধা হচ্ছে। স্টাফ কোয়ার্টার ভেঙে পড়ে আছে। এটা যেন পরিত্যক্ত বাড়ি। প্ল্যাটফরমের দুই পাশে রেলওয়ে থেকে ভাড়া নেওয়া দুটি দোকান রয়েছে। তবে দোকানগুলো ক্রেতাশূন্য। লাকসামের তপৈয়া এলাকায় রেললাইনে কাঁথা শুকাতে দেখা গেছে।
খিলা বাজারের ক্রেতা অহিদুল ইসলাম বলেন, এই স্টেশন এক সময় অনেক জমজমাট ছিল। এখন ট্রেন কমে গেছে। স্টেশনও বন্ধ। ট্রেন কমে যাওয়ায় আমাদের চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এই রুটের যাত্রী আবদুল ওয়াদুদ খোকন,আবদুল কাদের ও মাসুদ মিয়া বলেন,আগে এই রুটে চার পাঁচটি ট্রেন চলতো। এখন একটি ট্রেন চলে। ট্রেনের পরিমাণ বাড়লে এলাকার মানুষ সাশ্রয়ী ভাড়ায় চলাচল করতে পারতো।
রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, স্টেশন মাস্টার ও জনবল সংকটে স্টেশনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। স্টেশন মাস্টার নিয়োগ হলে স্টেশনগুলো আবার চালু হবে। এদিকে ইঞ্জিন সংকটে ট্রেন কমেছে। আগামী মাসে এই রুটে নিঝুম এক্সপ্রেস নামের আরেকটি আন্ত:নগর ট্রেন চালু হতে পারে।

inside post
আরো পড়ুন