এখন কেউ বলে না `মারে-বাবারে চারটা ভাত দে’- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

কুদরত উল্যাহ,মনোহরগঞ্জ।।
inside post
নৌকা মানে স্বাধীনতা, নৌকা মানে বাংলাদেশ, নৌকা মানেই উন্নয়ন। নৌকায় ভোট দিলেই মানুষের ভাগ্যন্নয়নে কাজ করা হয়।আর বিএনপি জামাতকে ভোট দিলে দেশে উন্নয়নের পরিবর্তে মানুষ হত্যা,লুটপাট  ও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়।এখন কেউ বলে না `মারে-বাবারে চারটা ভাত দে’। তাই বাংলাদেশের মানুষ বারবার নৌকায় ভোট দিয়ে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় প্রেরণ করে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কুমিল্লা -৯(লাকসাম -মনোহরগঞ্জ) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গতকাল দিনবর পথ সভা ও নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথা গুলো বলেন মো.তাজুল ইসলাম এমপি।
এসময় তিনি আরো বলেন- আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে মহান সংসদে প্রেরণ করেন।আমি সংসদে গিয়ে আপনাদের ভাগ্যন্নয়নে কাজ করার জন্য চেষ্টা করি।
লাকসাম -মনোহরগঞ্জে আইনের শাসন কায়েম,ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা।জঙ্গিবাদ, মাদক,চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসসহ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান বরাবরই কঠোর।
তিনি বলেন-সারা বিশ্বের দেশগুলো আগামী ৭জানুয়ারি আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আমার নির্বাচনী আসনে আরো ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। সকল প্রার্থী যাতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারে, সেলক্ষ্যে তিনি আইনশৃংখলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে সকলেরই নির্বাচন/ভোট করার অধিকার রাখেন।তাই আপনারা আগামী ৭জানুয়ারি ভোট  কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেন।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে এলজিআরডি মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম এমপি লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনী গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভায় দলীয় নেতা-কর্মী এবং ভোটারদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। মতবিনিময় সভা গুলো জনস্রোতে রুপান্তরিত হয়েছে।
এসময় তাঁর সফর সঙ্গী ছিলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.জাকির হোসেন, লাকসাম উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও লাকসাম পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের,মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন,মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ,  মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ কামাল হোসেন (চেয়ারম্যান), মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সেলিম কাদের চৌধুরী,মনোহরগ্যঞ্জ উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।
এছাড়াও বিভিন্ন মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  বিপুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, নাথের পেটুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মন্নান চৌধুরী, সরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, উপজেলা যুবলীগ নেতা মহিন উদ্দিন ভূঁইয়া,লক্ষণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী নির্বাচনী মত বিনিময় সভায় আরও বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় অগ্রগতির ফলে আন্তর্জাতিক নানা মহলে বাংলাদেশ নিয়ে আগ্রহ ও ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ফলেই আজ আন্তর্জাতিক মহলে আমাদের কদর ও সমাদর বেড়েছে ।
মোঃ তাজুল ইসলাম এ সময় বিরোধী বিএনপি নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তের কারণে পুরো জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার মধ্য দিয়ে যে দলটি গড়ে উঠেছে সে দলটি জাতীয় স্বার্থ বিরোধী রাজনীতি করার ফলে দিন দিনই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের উদাহরণ টেনে বলেন, একসময় প্যারিস কনসোর্টিয়ামে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী দাতা সংস্থাগুলো থেকে ঋণ প্রাপ্তির জন্য দেন দরবার করতেন কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো আমাদের কাছে এসে তারা ঋণ দিতে ইচ্ছা পোষণ করে। কারণ বাংলাদেশ কখনো ঋণ খেলাপি হয়নি এবং বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা থাকার ফলে বিদেশি সংস্থাগুলো ঋণ দিতে চায়।
আরো পড়ুন