কাঁদছে দুর্গাপুর গ্রাম, বন্ধ নিহতদের বিদ্যালয়

 

inside post

কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুরে ট্রেনে কাটা পড়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া তিন শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় শোকে স্তব্ধ গ্রামবাসী। এখনও কাঁদছে তাদের গ্রাম উপজেলার দুর্গাপুর। শিশুদের হারিয়ে মা-বাবাসহ স্বজনরা পাগল প্রায়। কোন সান্ত্বনাই থামাতে পারছে না তাদের আহাজারি। এদিকে তিন শিশু শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃহস্পতিবার খোলেনি।
ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী হাজী মো.সেলিম বলেন, বুধবার একই সময়ে দুই ট্রেন দুই লাইন দিয়ে পার হচ্ছিলো। একটি ছিলো চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস। আরেকটি ছিলো ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেন। তারা মূলত মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়েছে।
তিনি বলেন, দুইদিক থেকে দু’টি ট্রেন আসায় তাঁরা হতভম্ব হয়ে যায়। তারা শুধুমাত্র বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেখতে পেয়েছিলো। এজন্য তারা আরেক লাইন দিয়ে হাঁটার সময় পেছন থেকে আসা মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে।
বৃহস্পতিবার বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদেকুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। আমাদের তিন শিশু শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় পুরো বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শনিবার বিদ্যালয় খোলার পর আমরা দোয়ার আয়োজন করবো।
উল্লেখ্য-বুধবার সাড়ে ১১টার সময় মহানগর প্রভাতী ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয় কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী রীমা আক্তার, তাসপিয়া আক্তার ও মীম আক্তার । তারা সবাই দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা।

 

আরো পড়ুন