গণধোলাই দিয়ে ৩ ডাকাতকে পুলিশে সোপর্দ

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ডাকাতির চেষ্টাকালে গণধোলাই দিয়ে ৩ ডাকাতকে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কালিকালুর গ্রামে। এ ঘটনায় ৩জনের নাম উল্লেখসহ ৬জনকে আসামি করে থানায় ডাকাতি মামলা হয়েছে। রবিবার বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
থানায় দায়েরকৃত মামলা থেকে জানা যায়, কালিকাপুর গ্রামের কাজী মহিন মিয়ার বাড়িতে রবিবার ভোরে শব্দ শুনে ঘুম ভেঙ্গে যায় মহিন মিয়ার ছেলে নাজমুল হাসান রকির। সে উঠে এসে দেখেন বাসার সিঁড়ির রুমে রাখা তার মোটরসাইকেলটি কয়েকজন নিয়ে যাচ্ছে। এসময় রকি বাধা দিলে ডাকাতরা তাকে মারধর শুরু করে। তার চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের মানুষরা ধাওয়া দিয়ে ৩জনকে আটক করে ফেলে। এসময় অপর ৩জন পালিয়ে যায়। তখন উপস্থিত স্থানীয়রা আটক ৩ ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। আটককৃতরা হলো, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কালিকাপুর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোহন হোসেন বক্কর(২৫), একউ উপজেলা সামবক্সি এলাকার আবু মিয়ার ছেলে সাগর(৪০) ও মেহেদী হাসান ফাহিম(২০)। পুলিশ ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলসহ তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এদের মধ্যে ফাহিমের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা প্রেরণ করে।
মামলার অভিযোগকারী নাজমুল হাসান রকি বলেন, ডাকাতরা মূলত আমাদের বিল্ডিংয়ে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংকে ডাকাতি করতে এসেছিল। তারা আমাদের আশপাশের সবার ঘরের বাইরে তালা দিয়ে দেয়। গ্রামীণ ব্যাংকের তালা ভাঙ্গতে না পেরে যাওয়ার সময় আমার মোটর সাইকেলটি নেয়ার চেষ্টাকালে শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।
থানার সেকেন্ড অফিসার সৈয়দ সানাউল্লাহ বলেন, ‘আটক আসামিদের মধ্যে দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। একজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। পালিয়ে যাওয়া অপর ৩জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

inside post
আরো পড়ুন