ঘর পেয়ে খুশি শহীদ পরিবার

প্রতিনিধি ।।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে নিহত স্কুল ছাত্র সাব্বিরের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সাবেক মন্ত্রী ও পাঁচবারের সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ। গুলিতে শহীদ কিশোর আমিরুল ইসলাম সাব্বিরের পরিবারের অসহায়ত্বের কথা শুনে তুরস্ক থেকে নেতাকর্মীদের মাধ্যমে পরিবারটিকে নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান ও বসবাসের জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন তিনি।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাধ্যমে সাব্বিরের মায়ের হাতে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে দেন এবং তাদের বসবাসের জন্য একটা ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এছাড়াও আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত হওয়া মুরাদনগরের ৭জন শহীদ পরিবারকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা করে মোট তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা ও সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে উপজেলার সকল শহীদ পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন সাবেক এমপি কায়কোবাদ।
শহীদ কিশোর আমিরুল ইসলাম সাব্বির কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের ছেলে।
সাব্বির মরিচাকান্দা জিয়া স্মৃতি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ছিলো। সে দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী গ্রামে তার মামার বাড়ীতে থাকতো।
জানা যায়, এক বছর আগে আমিরুল ইসলাম সাব্বিরের বাবা মারা যায়। পরিবারের উপর্জনক্ষম পিতাকে হারানোর পর সংসারের হাল ধরেন সাব্বির। সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে নিজের পড়াশোনা ও সংসারের খরচ চালাতো সে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শুরু থেকে সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহষ করতো সাব্বির। ৪ আগস্ট কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের দেবিদ্বারের মিছিলে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে ১২দিন আইসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সে।
নিহত সাব্বিরের মা রিনা আক্তার বলেন, আমরা সরকারি কোন সহায়তা পাইনি, কিন্তু কায়কোবাদ দাদা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। টাকা দিয়েছেন, সুন্দর একটা ঘর করে দিচ্ছেন। আল্লাহ তাকে সুস্থ রাখুন।

inside post
আরো পড়ুন