জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন একই দিন নয় কেন?

॥মন্তব্য প্রতিবেদন॥

বাকীন রাব্বী।।
গত বছরের অগাস্ট মাসে ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। বিতাড়িত শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি স্বজনপ্রীতির হাজারো অভিযোগের মধ্যে অন্যতম ছিল দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া।
ড. ইউনুস ক্ষমতা গ্রহণের পরই জাতীয় সংসদসহ স্থানীয় সরকারের সবগুলি প্রতিষ্ঠানই ভেঙ্গে দেন। তখন থেকেই দেশের সব রাজনৈতিক দলের অন্যতম দাবি ছিল, দ্রুত একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন।
কয়েক মাস পর এ নির্বাচন নিয়েই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিভক্তি দেখা যায়। কেউ বলেন আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরে স্থানীয় সরকার। এ বিভক্তি ধীরে ধীরে প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে।
আমরা জানি দেশ ব্যাপী একটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে কখনো কখনো হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। এর সাথে প্রয়োজন হয় বিপুল সংখ্যক লোকবলের। জাতীয় সংসদ অথবা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আলাদা আয়োজন করতে সরকারের দুইবার এই বিপুল অংকের টাকা খরচ করতে হবে।
পৃথিবীর অনেক দেশে একই দিন অনেকগুলি পদে নির্বাচন হয়ে থাকে। যেমন- যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালট পেপারে সিনেটর কংগ্রেসম্যানদের পাশাপাশি স্থানীয় শহরগুলির স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও ফায়ার ব্রিগেডের জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনও হয়ে থাকে। ইউরোপের অনেক দেশেও একই ভাবে একই দিন বিভিন্ন ব্যালটের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করা হয়।
বাংলাদেশে একই দিন জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকার অর্থাৎ উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে লোকবল বা আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর স্বল্পতার প্রশ্ন আসতে পারে।
এ বিষয়ে বলতে চাই- দেশেটাকে চারটি ভাগে ভাগ করে পূর্বের ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে যদি একই ব্যালট পেপারে চার দিনে নির্বাচনটি করা যায় তাহলে আশা করা যায় লোকবলের সমস্যা হবে না। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফল অবশ্যই একত্রে ঘোষণা করতে হবে।
লেখক: সম্পাদক,সাপ্তাহিক আমোদ।