জিলানীর স্বজনদের হত্যার হুমকির অভিযোগ

 

inside post

আমোদ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা নগরীর চৌয়ারায় যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী ওরফে গোলাম জিলানী হত্যার সাতদিন পার হলেও এখনো গ্রেফতার হয়নি ঘটনার মূলহোতারাসহ মামলায় অভিযুক্তরা। এনিয়ে আতংকে দিন কাটছে স্বজনদের। অভিযোগ উঠেছে আসামিরা স্বজনদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

নগরীর চৌয়ারা বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা অহিদুর রহমান বলেন, ‘জিলানী আমার সঙ্গে এক সাথে রাজনীতি করতো। তার এই নির্মম খুনের পর থেকেই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে কথা বলছি। এখন খুনিদের লোকেরা আমাকেও হুমকি দিচ্ছে এসব থেকে সরে যাওয়ার জন্য। না হলে আসামিরা জামিনে এসে আমাকে দেখাবে। আসামিরা চৌয়ারার আশ-পাশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। তারা যেকোন সময় আমাকেও মেরে ফেলতে পারে। এই খুনিদের কারণে এখন জিলানী পরিবারও আতংকে আছে। তারা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত কেউই নিরাপদ নয়।’

গোলাম জিলানী হত্যা মামলার বাদী ও নিহতের ছোট ভাই ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন,‘আমার ভাইকে নির্মম ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করলো খুনিরা। হত্যাকাÐের সাতদিন পার হলেও আসামিরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা না হলে তারা আমাকেও খুন করতে পারে। আমি মামলা করাতে এখন তাদের প্রধান টার্গেট। ’
জিলানীর স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা জাহানারা বেগম বলেন, ‘এই খুনিরা আমার স্বামীকে যেভাবে হত্যা করেছে, কোন জানোয়ারও কাউকে এভাবে মারে না। দ্রæত তাদের ধরা না হলে তারা যেকোন সময় আমাদেরও খুন করতে পারে।’

এদিকে এসব ঘটনার মধ্যেই সোমবার রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগদান করেছেন দেবাশীষ চৌধুরী। মঙ্গলবার এ হত্যা মামলার প্রসঙ্গে ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, আমরা তদন্তের মাধ্যমে হত্যায় জড়িত সকলকে গ্রেফতার করবো। কোন আসামি রাজনৈতিক বিবেচনায় পার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকাÐের দিন গ্রেফতার মামলার ৯ নম্বর আসামি আবদুল কাদেরের রিমান্ড শুনানি এখনো হয়নি বলেও তিনি জানান।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ মো. নুরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাÐের দিন গোলাম জিলানী স্ত্রীর কাছে অনেকগুলো তথ্য দিয়ে গেছেন। সেগুলো আমাদের হাতে এসেছে। আমরা সেগুলো তদন্ত করে দেখছি। আর হত্যাকারীর পরিচয় শুধুই হত্যাকারী। আমাদের কাছে তাদের অন্য কোন পরিচয় নেই।

উল্লেখ্য- আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১১ নভেম্বর নগরীর চৌয়ারায় যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। ঘটনার পরদিন তার ভাই ইমরান হোসেন চৌধুরী সদর দক্ষিণ থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ, অজ্ঞাত আরও ১৫ জনসহ ৩৯জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জিলানীকে নিজের কর্মী দাবি করেছেন কুমিল্লার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা। এদিকে নিহতের ভাই ইমরান চৌধুরী বাদী হয়ে যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তাদের অধিকাংশ কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের সমর্থক।

আরো পড়ুন