ডিম পাড়ে হাঁসে, খায় বাগডাশে!
কুমিল্লা বোর্ডের প্রশ্ন নিয়ে ফেসবুকে ট্রল
তৈয়বুর রহমান সোহেল।।
১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার শুরু হয় এইচএসসি পরীক্ষা। প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হয়। এদিন কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের নয় নম্বর প্রশ্নের উদ্দীপক নিয়ে ফেসবুকে ট্রল হচ্ছে। প্রশ্ন নিয়ে ইতিবাচক ও নেতিবাচক মন্তব্য চলছে। তবে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আসাদুজ্জামান বলেছেন, এটি কোনো ঘটনা নয়। লালসালু উপন্যাসের সাথে প্রাসঙ্গিক করেই প্রশ্নপ্রণীত হয়েছে।
উদ্দীপকে উল্লেখ ছিল,’ ডিম পাড়ে হাঁসে, খায় বাগডাশে/ বুঝছোনি ভাই বুঝছোনি, আসল কথা বুঝছোনি?/ এক গেরামের গরিব চাষি কালা মিয়া নাম/ সবার পেটে ভাত জুটাইতে ক্ষেত্রে ঝরায় ঘাম/ ও তার ছাওয়াল কান্দে ক্ষুধার জ্বালায়/ মহাজনরা হাসে।/ ডিম পাড়ে হাঁসে, খায় বাগডাশে।’
বেলাবোস নামে একটি পেজে লেখা হয়েছে, “ডিম পাড়ে হাঁসে, খায় বাগডাশে” কীভাবে খায়?
কুমিল্লা বোর্ডের কাছে প্রশ্ন!
জান্নাত আক্তার নামে একজন লিখেন, “ডিম পাড়ে হাঁসে, খায় বাগডাশে”। যে বাগডাশটায় ডিমটা খেলো সেটার কি খবর? না, মানে খুঁজে পাওয়া কি গেছে সেই বাগডাশটাকে? যেহেতু আমাদের পরীক্ষা শেষ। কুমিল্লা বোর্ডের কাছে জানতে চাইছিলাম!
নাজমিন জাহান সামিয়া নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন,”ডিম পাড়ে হাঁসে,খায় বাগডাশে।”
উক্তিটি আমাদের সমাজের বর্তমান সময়েরও বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। আর লালসালু উপন্যাসের পুরো কাহিনির মূলভাবই ব্যক্ত করে। গ্রামের মানুষের শ্রমের ফসল, কষ্টে উপার্জিত অর্থ ধুর্তবাজ মজিদরা তাদের ধর্মান্ধতার সুযোগ নিয়ে চোখে ধুলা দিয়ে নিজের গোলা ভরায়।
স্পর্শ বনিক নামে একজন লিখেন, ‘ডিম পাড়ে হাঁসে, খায় বাগডাশে’ বহুল প্রচারিত একটি প্রবাদ। এর অর্থ, শুভঙ্করের ফাঁদে সরল মানুষের কষ্টার্জিত সম্পদ গরল মানুষের ভোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।