তদন্ত কমিটির সামনে অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই

 

inside post

সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা লালমাই উপজেলার হাজতখোলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ.হ.ম মুস্তফা কামালের প্রচারণার সময় দুই সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ৩সদেস্যর তদন্ত কমিটি করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) সালমা ফেরদৌস। সদস্য সচিব সিনিয়র সহকারী সচিব ইমদাদুল হক তালুকদার,সদস্য লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌমিতা দাস। মঙ্গলবার সালমা ফেরদৌস ঘটনায় সম্পৃক্ত সাংবাদিক ও অভিযুক্ত অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ারের বক্তব্য শোনেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সালমা ফেরদৌস। এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আরো আসেন অর্থমন্ত্রীর ভাতিজা লালমাই উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শাহীন,প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক দৈনিক সংবাদের মাসুদ রানা,ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা দৈনিক আমাদের কুমিল্লার সাংবাদিক গাজী মামুন।
ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন,তদন্তে দুই পক্ষের কথা শুনেছি। এবিষয়ে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।
সালমা ফেরদৌস বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাদের বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই দুই পক্ষের সাথে কথা বলেছি। এ বিষয়ে তদন্ত পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গোলাম সারোয়ার বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সালমা ফেরদৌসের কক্ষে গিয়েছি। আমি বলেছি, তারা(সাংবাদিক) আগে ছাত্রলীগ করতো। কখন সাংবাদিক হয়েছে জানি না। ভুল বুঝাবুঝিতে এমনটা হয়েছে।
সূত্র জানায়,গোলাম সারোয়ার মঙ্গলবার রাত ৮টার পর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসেন। এসময় তিনি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের দেখে সুর নরম করে বলেন, বুজ্জনি বয়স হয়েছে। অনেকের নাম ও চোহারা মনে থাকে না। তাই এমনটি হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী দৈনিক সংবাদের লালমাই প্রতিনিধি মাসুদ রানা বলেন, আজ আমাদের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তদন্ত কমিটি ডেকেছে। আমরা সেখানে বলেছি- অর্থমন্ত্রীর মেয়ে নাফিসা কামাল সোমবার লালমাই উপজেলার হাজতখোলায় নৌকার প্রচারণায় আসেন। উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য হাজতখোলা বাজারে যাই। সবাই ভিডিও করছিল। এমন সময় অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই গোলাম সারওয়ার সাহেব এসে এক সাংবাদিকের ক্যামেরা নিয়ে নেন আর আরেকজন সাংবাদিকের ক্যামেরা নিয়ে যাওয়ার জন্য ধস্তাধস্তি করেন।


সাংবাদিক গাজী মামুন বলেন,এই ঘটনার পর চেয়ারম্যান সাহেব বলছেন তিনি আমাকে চিনতে পারেননি, তাই এমনটি হয়েছে। আমি ৫বছর সাংবাদিকতা করি। চেয়ারম্যান সাহেবের নিউজ বেশি করেছি। তিনি আমাকে না চেনার কথা নয়। এদিকে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে,প্রচারণায় নেতাকর্মীদের সমন্বয়হীনতায় তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন। তাই তিনি সাংবাদিকদের সাথে এই আচরণ করেন।
উল্লেখ্য- অর্থমন্ত্রীর মেয়ে নাফিসা কামাল সোমবার লালমাই উপজেলার হাজতখোলায় নৌকার প্রচারণায় আসেন। সাংবাদিকরা প্রচারণার ছবি তোলার সময় লালমাই বার্তার স্টাফ রিপোর্টার কাজী নিমেলের ক্যামেরাটি ছিনিয়ে নেন অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার। এছাড়া দৈনিক আমাদের কুমিল্লার লালমাই প্রতিনিধি গাজী মামুনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তিনি ওই সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাংবাদিকের এতো ভিডিও’র দরকার নাই। সারাক্ষণ খালি ছবি তোলা আর ভিডিও করার কোনো কাজ নাই। আমরা ছবি তুলতে ঢাকা থেকে টাকা দিয়ে লোক এনেছি।

আরো পড়ুন