তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের

মামলা প্রত্যাহার দাবিতে ২ কিলোমিটার মানবপ্রাচীর
 মহিউদ্দিন আকাশ।।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের পাঁচবারের সাবেক এমপি, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শেখ হাসিনা সরকারের প্রহসনের রায় বাতিল করে দেশে আসার পরিবেশ তৈরির দাবিতে কুমিল্লার মুরাদনগরে মানববন্ধন করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
২ কিলোমিটার লম্বা মানবপ্রাচীরে অবিলম্বে তারেক রহমান ও কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকিও দেয়া হয়।
শনিবার উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্বর থেকে কোম্পানীগঞ্জ রোড, থানা রোড, রামচন্দ্রপুর রোড ও হোমনা রোডসহ প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে এ মানববন্ধন করা হয়।

মুরাদনগর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, মুরাদনগরের প্রতিটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিবারের সুখে দুঃখে পাশে থাকেন কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। তিনি এমপি থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন উৎসবে এবং নানান দুর্যোগের সময় আমাদের নিজ হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। অথচ আজ ১৬ বছর মিথ্যা মামলা দিয়ে কায়কোবাদ দাদাকে দেশের বাহিরে রাখা হয়েছে। আমরা আমাদের দাদাকে সসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানাই।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের মুরাদনগর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দীন দয়াল পাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পুরো মুরাদনগরের সর্বস্তরের হিন্দুদের আক্ষেপ, কায়কোবাদ দাদা আমাদের জন্য এত কিছু করল অথচ ওনার জন্য আমরা কিছুই করতে পারলাম না। তাই আজ সকল হিন্দুদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন করছি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দ্বিতীয়বার ষড়যন্ত্র করে তারেক রহমান ও কায়কোবাদ দাদাকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলায় কায়কোবাদের বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ বা কোন স্বাক্ষী পাওয়া যায়নি! এরপরও আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রহসনের রায়ে তারেক রহমান ও কায়কোবাদ দাদাকে কারাদন্ড দিয়েছে। আমরা সাজানো মামলার ফরমায়েশী রায় প্রত্যাহার চাই।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দুলাল দেবনাথ, অরুপ নারায়ণ পৌদ্দার পিংকু, অঞ্জন রায়, দ্বীন দয়াল পাল, অধ্যাপক নিতানন্দ রায়, দয়ানন্দ ঠাকুর, রতন দাস, প্রঞ্জিত কুমার মজুমদার, শংকর রায়, গৌরাঙ্গ দেবনাথ প্রমুখ।