নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিনের বাড়িতে সিপিবি নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লায় মাদক চোরাচালানী চক্রের গুলিতে নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম’র পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে তার নিজ বাড়িতে গেলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র ১১ সদস্যের একটি দল।
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড আব্দুল্লাহ আল ক্বাফি রতন এবং কুমিল্লা জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড সুজাত আলীর নেতৃত্বে ওই ১১ সদস্যের দলটি ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া গ্রামে সাংবাদিক মহিউদ্দিনের বাড়িতে আসেন।
সিপিবি নেতৃবৃন্দ নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিনের পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং মামলার অগ্রগতী নিয়ে কথা বলেন। এ সময় নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিনের পিতা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মোশাররফ হোসেন সরকার গর্ব করে বলেন, আমার পুত্র শুধু একজন পেশাগত দায়িত্ব পালনে আপোষহীন সাংবাদিকই ছিলনা, সে মাদক চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধেও একজন আপোষহীন কলমযোদ্ধা ছিল। মাদক চোরাকারবারীরা প্রতিবন্ধকতা দূর করতেই আমার পুত্রকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। তিনি সিপিবি নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমি একজন যোগ্য পুত্রের গর্বিত পিতা। তা নাহলে আপনারা ঢাকা, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দরা আমার বাড়িতে আসতেন না।
সিপিবি’র ১১ সদস্যের দলে ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড আব্দুল্লাহ আল ক্বাফি রতন, কুমিল্লা জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড সুজাত আলী, সাবেক সভাপতি কমরেড আতিকুর রহমান বাশার, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ও কুমিল্লা জেলা কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক কমরেড পরেশ কর, সিপিবি দেবীদ্বার উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আব্দুল ওয়াদুদ, বুড়িচং উপজেলা কমিটির সম্পাদক কমরেড গনেশ ভট্টাচার্য্য, সদস্য কমরেড আব্দুর রব, চান্দিনা উপজেলা কমিটির সদস্য কমরেড সহিদুল্লাহ, যুবইউনিয়ন কুমিল্লা জেলা সভাপতি একেএম মিজানুর রহমান কাউছার, যুব ইউনিয়ন দেবীদ্বার উপজেলা সভাপতি রঞ্জন সাহা, সাংবাদিক মোঃ সাহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য গত ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদ সীমান্তে মাদক চোরাকারবারীদের গুলিতে মহিউদ্দিন সরকার নাঈম (২৮)নিহত হন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বুড়িচং উপজেলার শষিদল বাজারে সিপিবির প্রতিবাদ সভা ও হায়দ্রাবাদ সীমান্ত পর্যন্ত শোক র্যালীর আয়োজন করা হয়েছে।