প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ডাকাতির নাটক চাচার, প্রতিবন্ধী ভাতিজাকে হত্যা
ছাগল বাঁধার দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা
প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আপন ভাতিজাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ডাকাতির নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে। হত্যা করা হয় শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাতিজা রফিকুল ইসলামকে (৩৮)। রফিকুল উপজেলার আবিদপুর উত্তরপাড়া পাটোয়ারী বাড়ির হাবু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় তাঁর চাচা মফিজুল ইসলাম সোমবার কুমিল্লা আদালতে হত্যার ঘটনার বিবরণ দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, চাচা মফিজুল ইসলাম প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলামের মৃত্যু নিয়ে ডাকাতির ঘটনা প্রচার করেন। সন্দেহ হলে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল। তাকে ফাঁসাতেই ডাকাতির নাটক সাজানো হয়। মফিজুল ইসলাম আরো বলেছেন, ছাগল বাঁধার দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধে রফিকুলকে হত্যার পর লাশ বেগুনখেতে ফেলে আসা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম জানান, পার্শ্ববর্তী বাড়ির আবুল খায়ের ও তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমের সাথে মফিজুল ইসলামের টাকার লেনদেন ছিল। প্রতিপক্ষ আবুল খায়েরকে ফাঁসানোর জন্য মফিজুল ইসলাম ডাকাতির নাটক ও তার ভাতিজা রফিকুলকে হত্যা করেন। বিষয়টি পুলিশের সন্দেহ হলে চাচা মফিজুল ইসলামকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়ার পর বিচারক মফিজুল ইসলামকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য-শনিবার রাতে ডাকাতির প্রচার করা। ওই রাতে নিখোঁজ হন ভাতিজা রফিকুল ইসলাম। রবিবার সকালে তার মরদেহ একটি বেগুন খেতের পাশে পাওয়া যায়।