যেভাবে হাসপাতালের পাঁচতলা থেকে পড়ে গেলেন রোগী

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ(কুমেক) হাসপাতালের পাঁচতলা থেকে পড়ে গনি মিয়া নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের পাঁচতলার বারান্দার পাশে থাকা খোলা জানালা দিয়ে নিচে পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে। ৪৭ বছর বয়সী ওসমান গনি কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বালুতুপা-দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহিনুল ইসলাম। ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্বজনরা নিহতের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অরক্ষিত জানালার পাশে গণি মিয়াকে যে বেড দেয়া হয় সেখান থেকে তিনি পড়ে যান। শুক্রবার রাতে হঠাৎ তারা একটি বিকট শব্দ শোনেন। নিচে গিয়ে দেখেন গনি মিয়ার লাশ পড়ে রয়েছে।
গনি মিয়ার বড় ছেলে রানা জানান, গত ৩ মার্চ তার বাবা হাতে ব্যথা নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। দিন দুয়েক পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতেন। সে ফেরা আর হলো না। শনিবার বিকেলে গ্রামের বাড়ি জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার কনেশতলা এলাকায় জানাযার নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।
গনি মিয়ার স্ত্রী কোহিনুর বেগম বলেন, রাতে ভাত খাওয়ানোর পর তার স্বামী বলছিলেন শরীরটা ভালো লাগছে না। পরে এপাশ ওপাশ করতে করতে বিছানা থেকে পড়ে যান গনি। বারান্দার পাশে যেখানে বেড ছিলো সেখানে কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো না।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. শাহজাহান বলেন, রমজান মাসে রোগীর সংখ্যা একটু কম। কক্ষের ভেতর বেড ছিলো। চাইলে তিনি সেখানে চিকিৎসা নিতে পারতেন। গতকাল রাতে বারান্দা সংলগ্ন যে বেডে ছিলেন সেখানে তিনি নিজের ইচ্ছায় ছিলেন। রাতে তিনি বেড থেকে পড়ে মারা যান। ভবিষ্যতে যেন এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে সে জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সতর্ক থাকবে।
