সম্মোহন -সজিবুর রহমান রাজন

প্রেমময় জ্যোৎস্নায় আত্মজা তুমি এলে,
বিষ মাখা সম্মোহনের বার্তা নিয়ে!
এ জ্যোৎস্নায়, সেই জ্যোৎস্নায়,
কত জ্যোৎস্নার কোল ঘেঁসে তুমি এলে।
প্রেমিকের মনে লালসার বহ্নি-বাত্যায়  নিভে গেল,
তবু তুমি ছিলে অনঢ়,অবিচল।
প্রেমিক সে তো চায় নি সম্মোহন,
চায় নি উদ্বেলিত জ্যোৎস্নার ছোঁয়া।
যে জ্যোৎস্নায় দাবানল জ্বলে,মৃতের মিছিলে অতর্কিত আহাজারি!
যে জ্যোৎস্নায় কামনা জাগায়,নপংসুর থাবায় দুহিতা নারী!
প্রেমিক চায় নি সেই জ্যোৎস্না।
যে জ্যোৎস্নায় পুকুরের জলে ভেঁসে আছে রক্তিম পদ্ম।
যে জ্যোস্নায় খোলা কেশে বাসন্তীর সুমিষ্টঘ্রাণে মুখরিত ।
যে জ্যোৎস্নায় কূজনের সুরে কাষ্ঠবনে পুষ্পের দোল৷
যে জ্যোৎস্নায় বাটীর বধূয়া ছুঁটে যায়,নগ্ন উল্লাসে ভাঁসে
সেই জ্যোৎস্না প্রেমিক চায় নি।
যে জ্যোৎস্নায় বৃষ্টির ফোঁটা নন্দিনীর স্তনে আঁচড়ে,
ক্ষণে ক্ষণে পিপাসিত,কামনায় করেছে উদগ্রীব।
কলঙ্কের কালিমায় রাঙায়ে করেছে কলুষিত।
 সেই প্রেমময় জ্যোৎস্না প্রেমিক চায় নি।
কলুষিত জ্যোৎস্না নয়,তাড়নার জ্যোস্নার  নয়
পবিত্র প্রেমময় জ্যোৎস্নার সম্মোহন হোক আত্মজা।