আখাউড়া-আগরতলা সড়ক মরণ ফাঁদ
আরো পড়ুন:
এইচ.এম.সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রথমে সড়কের কিছু অংশ ধেবে যায়। এরপর শতাধিক ফুট অংশ ভেঙে পরিণত হয় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। অবশেষে ৫-৬ ফুট প্রশস্তের গর্ত সৃষ্টি হয় পরিণত হয় মরণ ফাঁদে। বন্ধ হয়ে গেছে ভারি যানবাহন চলাচল। এই দৃশ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা এলাকার।
জানা যায়,আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক সড়কে একটা অংশে শুক্রবার (১৭ জুলাই) সকালে খানিকটা ধেবে যায়। এরপর এর পাশেই প্রায় ১২০ ফুট অংশ ভেঙ্গে যায়। সেই ভাঙ্গণের পর দপুরে বড় আকারের অন্তত ৫-৬ ফুট প্রশস্তের একটি গর্তের সৃষ্টি হয়ে এক রকম মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। গর্তটির পাশ দিয়ে ঝুঁঁকি নিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারলেও ভারি ও বড় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর আগে একই সড়কেই ওই গর্তের কিছু দূরের কোড্ডা অংশে তিতাস নদী থেকে উত্তোলিত বালু সড়কের পাশে বিশাল স্তুপাকারে মজুদ করে রাখায় সড়কের এক পাশ তিতাস নদীতে ধসে পড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগ থেকে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলা হয়। তৎপ্রেক্ষিতেই বালু জমাকারী তিন ঠিকাদারকে পুলিশ আটক করে। পরবর্তীতে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার শর্তে মুচলেকা দিয়ে আবু নাহিদ সোহাগ, শানু খলিফা এবং হাসান খলিফা নামের ওই তিন ঠিকাদার ছাড়া পায়। তবে এখন মরণ ফাঁদটি সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে কোনো কারণ জানা যায়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার সকালে প্রথমে সড়কের বাইপাস এলাকার খড়মপুর যাওয়ার পথের সামনে মাঝখানে সামান্য অংশ দেবে যায়। পরে এক পর্যায়ে বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়। এ সময় স্থানীয়রা ওই গর্তে গাছের ডালা ও লাল নিশান টানিয়ে চলাচলে সতর্কতামূূলক নির্দেশনা দেন। তবে গর্তের পাশ দিয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে ছোট যানবাহন।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘ঘটনাটি জেনেছি। সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’