আর্থিক অনুদান পেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০ সাংবাদিক
আরো পড়ুন:
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্থ সাংবাদিকদের জন্যে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট প্রদত্ত আর্থিক অনুদানের চেক পেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৪০ সাংবাদিক। শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চেক বিতরণ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, আওয়ামী লীগ যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে তখনই সাংবাদিকদের কল্যাণে উদ্যোগ নেয়া হয়। এজন্যে সে সময় ৫০ লাখ টাকাও দেয়া হয়েছিলো। তখন এই উদ্যোগ গ্রহণকারীদের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। কিন্তু পরবর্তী সরকারের সময় তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসে সেটি চালু করে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে সাংবাদিকরা যে কষ্টে আছেন তা ভুলে যায়নি সরকার। এই আর্থিক প্রণোদনা তাদের উপকারে আসবে। সাংবাদিকরা সত্য ও সুন্দরের পূজারী হয়ে সত্যিকার অর্থেই রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। জেলার ৪০ জন সাংবাদিককে এই আর্থিক প্রনোদনা দেয়া হয়।
প্রেস ক্লাবের আহবায়ক খ.আ.ম. রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন একজন বিজয়লক্ষী নারী। বাঙ্গালীর স্বাধিকার আন্দোলনে অনেকগুলো টানিং পয়েন্টে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সাহায্য করেছেন তিনি। ৬ দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে ফিরে আসা এবং ৭ মার্চের ভাষণের ব্যাপারে ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে তার। সেকারণে বঙ্গবন্ধুর চেয়ে তাঁর ভূমিকা কোন অংশেই কম নয়। একটি অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে এসে শেখ মুজিব যেমন জাতির পিতা হয়েছেন, তেমনি সেখান থেকে উঠে এসে একজন বালিকা বধূ বঙ্গজননীতে পরিণত হন। আজ ৮ আগষ্ট তার জন্মদিনে আমি তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই।
প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রেস ক্লাবের আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতা। জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেন প্রেস ক্লাবে ব্যক্তিগতভাবে আমার অনেক পছন্দের মানুষ আছে। কিন্তু নির্বাচনে আমার পছন্দ-অপছন্দের প্রকাশ ঘটবে না সেটি আমি আল্লাহকে হাজির-নাজির রেখে বলছি। এটা একান্তভাবেই ক্লাব সদস্যদের ব্যাপার। কাকে ভোট দেবেন,না দেবেন সেটা আপনাদেরই চয়েজ। জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন প্রেস ক্লাব নির্বাচনে আমরা সরাসরি কোন প্রার্থীর পক্ষে যাবো না।
প্রার্থী সিলেকশনের ক্ষেত্রেও আমাদের কোন পছন্দ থাকবে না। অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার, প্রবীণ সাংবাদিক মো. সাদেকুর রহমান।