এবার লাভের সম্ভাবনা দেখছেন মেঘনার দুর্গম চরের কৃষকরা

প্রতিনিধি।।
এবার লোকসান কাটিয়ে লাভের সম্ভাবনা দেখছেন কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মেঘনা চরের কৃষকরা। মালচিং বা জমিতে পলিথিন শীট দিয়ে মাটির গুণাগুণ রক্ষা ও কীটনাশক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে আগে কখনোই ফসল চাষ করেননি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার হরিপুর গ্রামের নদীর চরের কৃষকরা। এছাড়া ঋতুভিত্তিক ফলনের জাত কিংবা সরকারি ভাবে মাটি পরীক্ষা করে সারের ব্যবহার করলে উৎপাদন ব্যয় কমে আসে, এ নিয়েও কোন ধারণা ছিলো না মেঘনা ও কাঠালিয়া নদীর দুর্গম চরের কৃষকদের। অথচ কুমিল্লার মেঘনা- গোমতী- কাঠালিয়া নদীর অববাহিকা ও চরের উর্বর মাটিতে ফলন উৎপাদন হার অন্যান্য জায়গার তুলনায় দ্বিগুণ। পেঁয়াজ, রসুন, আলু, মরিচ, শসা ছাড়াও উচ্চমূল্যের হানিডিউ, রকমেলন, ক্যাপসিকামসহ নানান জাতের বিদেশি প্রজাতির ফসল উৎপাদনেরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে এই অঞ্চলের। এসব প্রান্তিক কৃষকদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রান্ত এগ্রো রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ। সোমবার হরিপুর চরে উচ্চ মূল্যের নিরাপদ ফসল চাষাবাদ কৌশল এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বিষয়ক সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে কৃষকদের আধুনিক কৃষি সম্পর্কিত পরামর্শ দেন গার্ডেন ফ্রেশ বাংলাদেশের সিইও ইব্রাহিম মোশারফ। এছাড়া কৃষকদের সাথে নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন খুলনা অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ কৃষক ও প্রকৌশলী শেখ ফয়সল আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রান্ত এগ্রো রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের মহাব্যবস্থাপক মোঃ বকুল হোসেন।
এসময় হরিপুর গ্রামের কমষক আবদুল কাদির বলেন, একসময় মেঘনার এসব চরে ব্যাপক তরমুজের চাষ হত। এখন কমে গেছে। ফুল ধরার পর নষ্ট হয়ে যায়। সেমিনারে তরমুজ চাষ নিয়ে যেসব কলাকৌশল দেখালেন তা কাজে লাগবে।
কৃষক ফজলুল করিম বলেন, মরিচ চাষের নতুন পদ্ধতি দেখালাম। ক্যাপসিকামও চাষ করা যাবে একই পদ্ধতিতে। কীটনাশক ছাড়াই এসব চাষ সম্ভব।
কৃষক মিসির আলী বলেন, আমাদের এলাকায় মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, ধান প্রায় সবই চাষ হয়। ফলন উঠলে পাইকার এসে নিয়ে যায়। কিন্তু আজকে জানলাম – ফলন কবে উঠাবো তা নির্ধারণ করেই চাষাবাদে নামতে হবে। এমন জানলে কৃষিকাজে উন্নতি সম্ভব।
পরিচালক মীর শহিদুল হক বলেন, সেমিনার থেকে স্থানীয় কৃষকরা আধুনিক কৃষি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ সম্পর্কে জানতে পেরেছে। এতে তারা উপকৃত হবে। আমরাও চরের জমিতে উচ্চমূল্যের ফলন উৎপাদন নিয়ে রিসার্চ করছি। প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন প্রজেক্ট পরিদর্শন করেন কৃষকরা।

inside post
আরো পড়ুন