কুমিল্লার ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হত্যা মামলার প্রধান আসামি আটক

 

অফিস রিপোর্টার।।

কুমিল্লার চাঞ্চল্যকর ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি রেজাউল করিমকে আটক করেছে বিজিবির সদস্যরা। আটক রেজাউল ১২টি হত্যাসহ ৩০ মামলার অন্যতম আসামি। রেজাউল কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ভল্লবপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।

শনিবার বিকেলে ১০ বিজিবির (কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন) অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার কেরানী নগর এলাকা থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় রেজাউলকে আটক করেছে বিজিবি। এ সময় তার কাছ থেকে একটি রিভলবার, ম্যাগজিনসহ চার রাউন্ড গুলি, ইয়াবা, নতুন ধরনের ভারতীয় ‘কৌটা মাদক’, ভারতীয় তিনটি পরিচয়পত্র, ভারতীয় ব্যাংকের ডেবিট কার্ডসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর নির্বাচনী সভার কথা বলে কুমিল্লা নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার মুঠোফোনে ডেকে নেন ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনকে। দেলোয়ার কুমিল¬া দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। সভা থেকে ফেরার পথে ওইদিন রাতে নিজ বাড়ির কাছাকাছি নগরীর শামবক্সি (ভল্লবপুর) এলাকায় সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে করে এসে দেলোয়ারকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই মো.শাহাদাত হোসেন নয়ন বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় একই এলাকার আবদুর রাজ্জাকের পুত্র রেজাউল করিমসহ অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়। হত্যার পরপরই রেজাউল পালিয়ে যায় ভারতে। দেলোয়ার হত্যা মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ। পরে মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), কুমিল্ল¬া।

দেলোয়ার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই, কুমিল্লার পরিদর্শক মো.মতিউর রহমান বলেন, বিজিবির সদস্যরা সন্ত্রাসী রেজাউলকে কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় হস্তান্তর করে তার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করবেন বলে জেনেছি। এর মধ্যে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় একটি এবং মাদকের ঘটনায় আরেকটি মামলা হবে। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে মামলাসহ আসামিকে হস্তান্তর করা হতে পারে। আর সে-টি না হলে আমাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। এছাড়া তাকে রিমান্ডে আনার জন্যও আদালতে আবেদন করা হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কিছুক্ষণ আগে বিজিবির সদস্যরা সন্ত্রাসী রেজাউলকে থানায় নিয়ে এসেছেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র উদ্ধার এবং মাদকের ঘটনায় দু’টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।