মাজারে যাওয়া হয়নি তাদের : বৃদ্ধা নিহতসহ আহত ১৫

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নারী-পুরুষ মিলিয়ে ওরা ৪৩ জন।করোনাজনিত কারণে গণপরিবহন স্বাভাবিক না থাকায় ট্রাকে করেই চট্টগ্রামের মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের উদ্দেশ্যে ওরা রওনা করে। গভীররাতে তাদেরকে বহনকারী ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা খায় গাছের সাথে। এতে ঘটনাস্থলেই এক বৃদ্ধা নিহতসহ আহত হয় অন্তত ১৫ জন। ঘটনাটি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা এলাকার। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুন) রাত পৌনে ১২টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে কসবা উপজেলার মনকাশাই নামক স্থানে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহত বৃদ্ধা রোকেয়া বেগম। আহতদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। হতাহত সকলের বাড়ি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত পৌণে ১২ টার দিকে চট্টগ্রামী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে কসবা উপজেলার মনকাশাইর নামক স্থানে সড়কের পাশে থাকা একটি গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই এক বৃদ্ধা নিহত হওয়াসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত পাঁচজনকে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন নয়ন মিয়া (৪৯), মদিনা বেগম (২৭), তিশামনি (৬), রিনা বেগম (৩৭), সাইদুর রহমান (৫২)। তারা সবাই নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার তেতুলিয়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। অন্যরা নিকটস্থ কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণসহ ক’জনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে।
আহত অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা সাইদুর রহমান জানান, মোহনগঞ্জ থেকে একটি ট্রাক রিজার্ভ করে তারা ৪৩ জন চট্রগ্রামের মাইজভাণ্ডার মাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। শুক্রবার রাত অনুমান পৌণে ১২ টার দিকে তাদের বহনকারী ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটনাস্থলে রাস্তার পাশের একটি গাছের সাথে ধাক্কা খায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। জাসপাতালে ভর্তি করানোর পর আমি জানতে পারি আমাদের সাথের যাত্রী রোকেয়া বেগম ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন এবং মহিলা-শিশুসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. শাহজালাল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে৷’