কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেল করা প্রার্থীকেই নিয়োগ!

 

 

আমোদ রিপোর্টার।।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় ফেল করার পরও এক প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্থানীয় এক প্রভাবশালীর প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে এ লঙ্কাকান্ড ঘটিয়েছে। এদিকে নিয়োগে এত বড় অসঙ্গতির বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ কম্পিউটার অপারেটর, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট পদে নিয়োগ প্রত্যাশীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয় ১১ এবং ১৫ মার্চ। এরপর গত ১৮ অক্টোবর এই তিন পদে চূড়ান্ত নিয়োগ প্রাপ্তদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই এই নিয়োগের নানা অসঙ্গতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট পদে ০৫ নম্বর রোলধারী প্রার্থী নিয়োগের জন্য অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ফেল করলেও প্রকাশিত ফলাফলে তাকে পাস দেখিয়ে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক নিয়োগ কার্যক্রম সংক্রান্ত এক সদস্য বিষয়টি স্বীকার করেন। গুঞ্জন রয়েছে, শুধু একজন না এমন আরও চার প্রার্থীকে ফেল করার পরও নিয়োগ দেয়া হয়।

এদিকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট পদে ০৫ নম্বর রোলধারী প্রার্থীকে যে পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সে পদে ওই প্রার্থী আবেদনই করেননি বলে জানা যায়। এছাড়াও ফেল করার বিষয়টি উপাচার্য স্বীকার করলেও প্রকাশিত ফলাফলের তালিকায় তাকে পাস দেখানো হয়েছে। পাস করা প্রার্থী থাকার পরও ফেল করা প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়ায় অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এতে কর্মচারী নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, এ কাজের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ ক্ষুন্ন হয়েছে, এটি একটি গর্হিত অপরাধ। এ অসঙ্গতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর মানুষ আস্থা হারাবে। যারা এ ধরণের কাজের সাথে জড়িত তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
ব্যবহাররিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও ফলাফলে পাস দেখিয়ে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ঐ প্রার্থী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্টের ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করায় কম্পিউটার টাইপিস্টের যোগ্যতা নেই বলে তাকে অফিস সহায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।