তিতাস স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স; কম্পাউন্ডারে চলছে ইমারজেন্সি বিভাগ!

 

মহিউদ্দিন মোল্লা

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। জনবল ও আধুনিক যন্ত্রপাতির সংকটে রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ছুটে যেতে হয় প্রাইভেট ক্লিনিকে। মেডিকেল অফিসারের জায়গায় হোমিওপ্যাথিক শাখার কম্পাউন্ডার দিয়ে চালানো হচ্ছে ইমারজেন্সি বিভাগ।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৪ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৯ সালে এই হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০১০ সালের ১৫ মার্চ হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ পাওয়া গেলেও টেকনিশিয়ানের অভাবে তা চালু করা হয়নি। ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর আব্বাস আলী ফাউন্ডেশন থেকে একটি আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন উপহার দেওয়া হলেও তা এখনও বাক্সবন্দি রয়েছে। ইমারজেন্সি সামাল দিতে হচ্ছে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কম্পাউন্ডার দিয়ে।

 

চিকিৎসাসেবা নিতে আসা গাজীপুর গ্রামের জামিলা বেগম জানান, একজন মাত্র ডাক্তার রোগী দেখছেন। এক ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ডাক্তার ৩টি ঔষুধের নাম লিখে বলেছেন হাসপাতাল থেকে নিতে। কিন্তু এর মধ্যে ২টি ঔষুধ হাসপাতালে নেই।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সরফরাজ হোসেন খান বলেন, আগের এক্স-রে মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন পাওয়া গেলেও জনবলের কারণে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন রোগীর সেবা নিশ্চিতসহ সিজারিয়ান অপারেশন চালু রয়েছে। ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এর কার্যক্রম চালু হয়নি। জনবল সংকটে সুইপার আর কম্পাউন্ডার দিয়েও সেবা দিতে হচ্ছে।