‘থ্রি হুইলারের কারণে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিকল হচ্ছে’

ইলেকট্রনিক থ্রি হুইলার চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনার কুমিল্লায় 

প্রতিনিধি।।
থ্রি হুইলার অর্থ, পরিবেশ ও জীবনের জন্য হুমকি স্বরুপ। এটিকে এখনই যদি জনবান্ধব বাহন হিসেবে না তৈরি করা হয় তাহলে এতে ঝুঁকি দিন দিন বাড়বে। কুমিল্লা শহরের মতো শান্তির শহর এখন এসব বাহনের জন্য আতংকের জনপদে রূপ নিয়েছে। অদক্ষ চালক ও অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষ পঙ্গু হচ্ছে। বুধবার রাতে কুমিল্লার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইইবি) কুমিল্লা আয়োজিত ‘ইলেকট্রনিক থ্রি হুইলার চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।


আইইবি কমিল্লার ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মীর ফজলে রাব্বীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, আইইবির সাধারণ সম্পাদক এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, প্রধান বক্তা ছিলেন বুয়েটের প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার ড. মো. জিয়াউর রহমান খান। বিশেষ বক্তা ছিলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী জিপি চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন আইইবি কুমিল্লা কেন্দ্রের সভাপতি প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী রহমত উল্লাহ কবীর।
প্রধান বক্তা বলেন, কামরাঙ্গিচরে কয়েক বছর আগে ব্যাটারি ব্লাস্ট হয়ে মা বাবা ও এক সন্তান মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইলেকট্রনিক থ্রি হুইলার দেশের বিদ্যুতের একটা বড় অংশ গ্রাস করছে। যখন ব্যাটারি চার্জ দেয়া হয় তখন একটা হাইড্রোজেন গ্যাস বের হয়। যা পরিবেশের ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। থ্রি হুইলারের কারণে ট্রান্সফরমার গুলোতে ওভার লোড হয়ে যায়। নষ্ট হয়ে যায়। এতে দ্রুত ট্রান্সফরমার গুলো বদল করতে হয়।


এসময় তিনি একটি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, ২০০৫ সালে রাতের বিদ্যুতের পিক আওয়ার ছিল সন্ধ্যা ৬ টা। পরিবর্তন হয়ে সেটি ২০০৯ সাল থেকে হয়েছে রাত ৯ টা। ২০০৮ সালে দেশে আসে ইলেকট্রনিক থ্রি হুইলার। এই পরিসখ্যানেই বুঝা যায় দেশের বিদ্যুতের ওপর কি ধরণের চাপ পড়ছে।
প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর বলেছেন, থ্রি হুইলারকে জনবান্ধব করতে হবে। এই অটো রিক্সা চালকরা বিদেশ থেকে দেশেই নাকি বেশি উপার্জন করছে। যদি এই আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায় তারা কি করবে. তাদের পরিবার কিভাবে চলবে। তাই যেখানে বেশি আছে এগুলোকে একটি পরিকল্পনায় আনতে হবে। এর মাধ্যমে পরিবেশ যেমন ঠিক থাকবে তেমনি দেশের বিদ্যুতেরও ঘাটতি দেখা দিবে না।