মেয়ের প্রেমিকের বন্ধুকে পিটিয়ে হত্যা



কলেজ ছাত্র হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি
অফিস রিপোর্টার।।
সহযোগিতার অভিযোগে মেয়ের প্রেমিকের বন্ধু কলেজ ছাত্র তুহিনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। তুহিন কুমিল্লা বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র। সে উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। তুহিন হত্যায় অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবুসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী এবং শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বুড়িচং উপজেলা সদরে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে সম্প্রতি তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যান। পালিয়ে গিয়ে মেয়ে ফেসবুকে লাইভে তারা বিয়ে করেছেন বলে জানাান। এজন্য কাউকে হয়রানি না করতে বলেন। এদিকে মেয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন মেয়ের প্রেমিকের বন্ধু তুহিন এই সন্দেহে তাকে ধরে নিয়ে যান সাইফুল ইসলাম। গত ২০ অক্টোবর রাতে তুহিনকে ধরে নিয়ে যান। তাকে গোবিন্দপুর গ্রামে একটি ভবনে নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। ঢাকার একটি হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে থেকে ৫দিন পর তুহিন সোমবার মারা যান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এরশাদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মোঃ কামরুল হাসান নাসিম, সহকারী অধ্যাপক সুমন মিত্র, এনামুল হক, আবুল হাশেম, ফুপু মিলন বেগম, চাচা জাকির হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন ভূইয়া,যুগ্ম আহবায়ক হৃদয় হাসান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জামিলুর রহমান তানিম,সাব্বির আহমেদ, উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মহিবুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খোকন ভূইয়া মেম্বার,ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মাসুম শেফাউল করিম মেম্বার, নুরুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ ও আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
এদিকে ২০ অক্টোবর তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার সাইফুল ইসলাম বাবুসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে বুড়িচং থানায় অভিযোগ করেন। অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন নাফিজ উদ্দিন, জহির মিয়া ও আবদুল আলিম।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর হোসেন বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, দ্রুতই এ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য সার্বক্ষণিক বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করছেন।
বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক জানান, অভিযোগ দায়েরের সাথে সাথে মামলাটি গ্রহণ করা হয়। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।