পরিকল্পনা সাবেক অর্থমন্ত্রীর বাসায়,গান পাউডার আনেন বাপ্পি

 

চৌদ্দগ্রামে ৮জন বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা

 প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৮জন বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার পরিকল্পনা সভা সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের গুলশানের বাসায় হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বরিশালের সাবেক এমপি পংকজ দেবনাথ থেকে বাসে আগুন দেয়ার গান পাউডার আনেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুন্নবী বাপ্পি।

আ হ ম মুস্তফা কামাল

 

 

এছাড়া গুলশানের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। তারা বিষয়টি গণভবনে গিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে পরামর্শ করেন। তাদের পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগের নেতা,স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, পুলিশ ও র‌্যাব গাড়িতে গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। মঙ্গলবার কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মনিরুল হক চৌধুরী।


তিনি বলেন,একটি অনলাইন টিভিতে প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি এসব অভিযোগ করেছেন। ওই ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,আমিসহ বিএনপি জামায়াতের নেতাদের আসামি করা হয়। তখন প্রশাসন বাসে পেট্রোল বোমার কথা বললেও সেটি মূলত গান পাউডার দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। ওই ঘটনায় আরো জড়িত ছিলেন,স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার,গোলাম ফারুক হেলাল ও মোশাররেফ হোসেন। আওয়ামী লীগ নেতাদেও মধ্যে রুপম মজুমদার,চঞ্চল,সজল,আলম ও রিপন। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

দেশত্যাগ ও ফোন বন্ধ থাকায় অভিযুক্ত কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আশিকুন্নবী বাপ্পি

মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান মিঠু বলেন, অন্যসব বিষয়ে জানি না। তবে আশিকুন্নবী বাপ্পি হাই স্কুলের গণ্ডি পার হয়নি। কখনও ছাত্রলীগ যুবলীগ করেনি। জাহাঙ্গীর কবির নানকের পিএস বিপ্লব ও বাপ্পি মিলে কুমিল্লা সীমান্তে মাদক ব্যবসা করতো। নানক ভাইয়ের লোক হওয়ায় তাকে কেউ ঘাটাতো না।
উল্লেখ্য-২০১৫সালের৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দেয়া হলে ৮যাত্রী পুড়ে মারা যান।