বর্জ্য থেকেই জৈব সার উৎপাদন : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কম্পোস্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
আরো পড়ুন:
এইচ.এম. সিরাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আজকের বর্জ্য আগামীকালের সম্পদ’। ‘আবর্জনাই নগদ অর্থ’। বর্জ্য নিয়ে বর্তমানের সভ্য দুনিয়ায় কথা দু’টো খুব বেশি প্রচলিত। যে বস্তুকে মানুষ বর্জন করতে চায়, সেটাই বর্জ্য। এই সরল সংজ্ঞাটিকে স্বতঃসিদ্ধ ধরে নিয়েই আমরা এতোকাল আবর্জনাকে ‘আবর্জনা’-ই মনে করে আসছি। কিন্তু বর্জ্যও যে সম্পদ হতে পারে, সেটি আমরা কদ্যপি বুঝতেও চাইনি। ‘আবর্জনা এখন বোঝা’ এই ধারণা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে যুগান্তকারী প্রকল্প গ্রহণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরে উৎপাদিত বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদনের লক্ষ্যে কম্পোস্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। পৌর এলাকাধীন ছয়বাড়িয়ায় প্ল্যান্ট নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উকায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
পৌর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের অভ্যন্তরে প্রতিদিন বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও হোটেল রেস্তেরা থেকে ৭০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়ে থাকে।শহর পরিচ্ছন্নতার লক্ষ্যে এবং পচনশীল এসব বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদনের লক্ষ্যে আরম্ভ করেছে পরিবেশসম্মত আবর্জনা ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (স্যানিটারি ল্যাণ্ড ফিল্ড) নির্মাণের কাজ।বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘প্রেগ্রাম্যাটিক সিডিএম-২য় পর্ব’ প্রকল্পের আওতায় কম্পোস্ট প্ল্যান্ট নির্মিত হবে। এখানেই পৌরসভার সকল ময়লা-আবর্জনা এনে প্রক্রিয়াজাত করে আবার এসব থেকেই উৎপাদন করা হবে জৈব সার। এতে একদিকে পরিচ্ছন্ন রাখা যাবে শহরকে, অন্যদিকে উৎপাদিত কম্পোস্ট সার ব্যবহার করা যাবে কৃষিকাজে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্ল্যান্টের কাজ শেষ করে জৈব সার উৎপাদন শুরু হবে।
প্ল্যান্ট নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শহরে উৎপাদিত বর্জ্য নিয়ে আর কোনোরকম দুশ্চিন্তা থাকবে না। উৎপাদিত বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন করা হবে যা পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি পৌর নাগরিকদের বর্জ্য নিয়ে ভোগান্তি কমবে। আয়োজিত অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. নুরুল আমিন, পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস, নির্বাহী প্রকৌশলী কাউসার আহমেদ, সচিব মো. শামসুদ্দিনসহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ ও সূধীজন উপস্থিত ছিলেন।