ভোটে মূল্য বাড়লো শতবর্ষী মেওয়া রাণীর
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বয়স ৯৪। স্বজনদের দাবি বয়স ১০০ এর বেশি।
মেওয়া রাণী। জাতীয় পরিচয়পত্রে লেখা জন্মসাল ১৯২৭। চোখে দেখেন না। কানেও তেমন শোনেন না। ক্ষীণ স্বরে একটু-আধটু কথা বলেন। এক ছেলে, দুই মেয়ের জননী মেওয়া রাণীর স্বামী মারা গেছেন বহু আগেই।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রাধানগর মুগারচর কেন্দ্রে দূর সমন্ধীয় এক নাতির ছেলের (পুতি) কোলে চড়ে ভোট দিতে আসেন। ভোট দিতে আসায় কেন্দ্রে তাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস দেখা যায় ভোটারদের মধ্যে। সবাই তার কাছে আসেন। খবর জানার চেষ্টা করেন। পাশে ভিড় জমে যায়।
সূত্রমতে, ঘরের এক কোণে পড়ে থাকেন মেওয়া রাণী। বার্ধক্যে নুয়ে গেছেন। যত্ন-আত্তির হিসেব মেলানো ভার। ঘরে মূল্য যেমনই হোক, ভোট আসায় তার মূল্য বেড়েছে। তাই বাড়ির স্বজন কোলে করে কেন্দ্রে নিয়ে আসেন।
মেওয়া রাণীর পুত্রবধূ লায়লা বেগম জানান, ভোট দেওয়ার বেশ আগ্রহ ছিল শাশুড়ির। তাই সবাই মিলে কেন্দ্রে নিয়ে আসেন।
মেঘনা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ও কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, মেওয়া রাণী বয়স্ক ও অসুস্থ। তাই তাকে আগে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।