শতবর্ষী গরু বাজারে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ

প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় শতবছরের পুরোনো একটি গরু বাজারে মার্কেট নির্মিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মুন্সিরহাট এলাকায়। ওই বাজার সপ্তাহে একদিন গরুর হাট বসতো। বাকি ৬দিন এলাকার মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে আসছিলেন। ৫০ শতাংশের জায়গায় উপর থাকা গরু বাজারের ভূমির শ্রেণি জালিয়াতির মাধ্যমে পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে বুধবার কুমিল্লা নগরীর ছোটরা এলাকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন ওই ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের প্রয়াত সিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ মোল্লার ছেলে মো.জালাল উদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা। এ সময় শাহ মো. ফয়সাল মোল্লা, এয়াছিন মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এ ঘটনায় মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিসহ বেশ কয়েকজনকে দায়ী করেছেন। এছাড়া বাজারটি রক্ষার দাবিতে এ ঘটনায় এরই মধ্যে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। ওই মার্কেট নির্মাণের মাধ্যমে এলাকাবাসীর ক্ষতি করে অভিযুক্তরা কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছেন বলেও দাবি করা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে মো.জালাল উদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা বলেন, মুন্সিরহাট গরু বাজারটি শত বছর ধরে এলাকার ঐতিহ্য বহন করে আসছে। আমার বাবা চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকাকালে বিদ্যালয়ের আয়বর্ধনের জন্য গরু বাজারের ভূমিটি দান করেছিলেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমলেস ম-ল, পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ জরিপ বিভাগের কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে বাজারটির ৫০ শতক ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন করে মুন্সিরহাট স্কুলের মাঠ হিসেবে বিএস খতিয়ানভুক্ত করে নেয়। তারা গোপনে মার্কেট নির্মাণ করছেন। কোন প্রকার দরপত্র আহ্বান করেনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমলেস ম-ল বলেন, সেখানে মার্কেট নির্মিত হচ্ছে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে। আমি এই বিষয়ে কথা বলতে হলে ম্যানেজিং কমিটির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবে তাদের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।